মামির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ভাগ্নের! পরে 'প্রত্যাখ্যাত' হয়ে চরম পদক্ষেপ মহিলার...
আজকাল | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। থানার ভেতরেই এক বিবাহিতা মহিলা নিজের কবজি কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জানা গেছে, দিল্লির বাসিন্দা পুজা মিশ্রা নামের ওই মহিলা তাঁর স্বামীর ভাগ্নে অলোক মিশ্রার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ঘটনার পর সীতাপুর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুজা মিশ্রা দিল্লির বাসিন্দা এবং স্বামী ললিত কুমার মিশ্রার সঙ্গে বহু বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। তাঁদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে, বয়স যথাক্রমে সাত ও ছয় বছর। কিছুদিন আগে ললিত তাঁর ভাগ্নে অলোক মিশ্রাকে কাজের সাহায্যের জন্য নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন। তখনই পুজা ও অলোকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। বয়সে প্রায় পনেরো বছরের ছোট অলোকের সঙ্গে পুজার সম্পর্ক ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। প্রেমের রসায়ন গড়ায় শারীরিক দিকে।
ঘটনা জানাজানি হলে পুজার স্বামী ললিত অলোককে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও সম্পর্কের ইতি ঘটেনি। পুজা নিজের দুই সন্তানকে ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং বেরেলিতে গিয়ে অলোকের সঙ্গে প্রায় সাত মাস একসঙ্গে বসবাস করেন। কিছুদিন পর তাঁদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। সেই সময় অলোক বরেলি ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ি সীতাপুরে ফিরে আসে।
অলোকের আচরণে ক্ষুব্ধ পুজা সীতাপুরেও পৌঁছে যান এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসায় উভয়কে থানায় ডেকে পাঠানো হয়, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ মেটানো যায়।
থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীদের সামনেই অলোক জানান, তিনি আর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চান না এবং নিজের জীবনে ফিরে যেতে চান। এই কথার পরই পুজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং হঠাৎই ব্যাগ থেকে একটি ব্লেড বের করে নিজের কবজি কেটে ফেলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তৎক্ষণাৎ পুজাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়ে তাঁকে লখনউ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন।
সীতাপুরের পুলিশ জানিয়েছে, পুজা মিশ্রা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। পাশাপাশি অলোক মিশ্রাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পারিবারিক ও মানসিক কারণে ঘটেছে বলেই পুলিশের ধারণা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুজা ও অলোকের সম্পর্কের কথা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষ জানতেন, তবে কেউই ভাবতে পারেননি যে এর পরিণতি এত ভয়াবহ হতে পারে। ঘটনাটি এখন গোটা এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।