সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আগেই একেরপর এক চাপ বাড়ছে মহাগটবন্ধনের। আসন রফা থেকে শুরু অরে মুখ্যমন্ত্রী মুখ, সব সিদ্ধান্তেই জেডিইউ-বিজেপি পিছনে ফেলেছে তেজস্বী-রাহুলকে। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা থাকায় বাতিল তেজস্বীর সভার অনুমতি। অমিত শাহকে ‘একনায়ক’ বলে তোপ বিরোধী নেতার।
বিহারে বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবকে শনিবার খাগারিয়ায় জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ হিসেবে অমিত শাহের সভার কথা বলা হয়েছে। জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল ক্রিকেট (জেএনকেটি) গ্রাউন্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা হওয়ার কথা। এর খুব কাছেই রয়েছে সংসারপুর গ্রাউন্ড। সেখানেই হওয়ার কথা ছিল তেজস্বীর সভা। সেই কারণেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমসয়ার কথা তুলে ধরে তেজস্বীর সভার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অনুমতি বাতিলের ঘটনাকে ‘একনায়কতন্ত্র’ বলেছেন তেজস্বী। শনিবার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করার কথা ছিল তেজস্বীর। এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল পার্বত্তা, আলুলি এবং খাগারিয়ায়। তেজস্বী বলেন, “আমাদের নির্বাচনী সভা দেখে ভারতীয় জনতা পার্টি ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এবার জনগণ তাদের কৌশল এবং চাপের সামনে মাথা নোয়াবে না।” প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণেই তেজস্বীর সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পার্বত্তা এবং আলুলিতে তেজস্বীর সভা হবে, সেখানে কোনও বদল হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার একদিন পরে শুক্রবার থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন তেজস্বী। সিমরি বখতিয়ারপুর, দারভাঙ্গা, মুজাফফরপুর, সমস্তিপুর এবং বৈশালীতে পাঁচটি জনসভা করেন তিনি। সেখান থেকেই ইন্ডিয়া ব্লক প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট চান তিনি। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “জঙ্গলরাজ” মন্তব্যের বিরধিতা করেন তিনি। তেজস্বী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিহারে আর কোনও জঙ্গলরাজ থাকবে না, তবুও বিহারে দিনভর খুন হচ্ছে এবং গুলি চলছে। ৫৫টিরও বেশি কেলেঙ্কারি রাজ্যকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।” তেজস্বীর দাবি, “প্রধানমন্ত্রীর উচিত বিহারের আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্নীতি সম্পর্কে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।” তেজস্বীর সভার অনুমতি বাতিলের পরেই শাসক জোটের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিয়েছে বিরোধিরা। তাঁদের দাবি, “মানুষ সবকিছু দেখছে। তাঁরাই নির্বাচনে ন্যায়বিচার করবে।”