‘জীবনকৃষ্ণকে কে ফাঁসাল?’, গ্রেপ্তারির জন্য জেলা সভাপতিকেই দায়ী করলেন ‘বিদ্রোহী’ হুমায়ুন
প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন হুমায়ুন কবীর। তৃণমূলই তৃণমূলের শত্রু বলে দাবি করলেন তিনি। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে দলকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
শুক্রবার পুলিশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে সরাসরি মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, “বড়ঞার এমএলএ জীবনকৃষ্ণ কোথায়? এখন জেল কাস্টডিতে। তাঁকে কে ফাঁসাল? বিশ্বনাথ সাহা, জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা, তাঁকে কীভাবে কনভিন্স করে জেলা সভাপতি ইডিকে দিয়ে আবার অ্যারেস্ট করিয়েছে, ঠিক সময় মতো যোগ্য জবাব দেব। আমার কাছে সব তথ্য আছে।” বীরভূমের প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জেলযাত্রার প্রসঙ্গও তোলেন হুমায়ুন। বলেন, “অনুব্রতবাবুও তো ২ বছর তিহার জেলে ছিলেন, নেত্রী তাঁকে স্বমহিমায় পদ দিয়েছেন। কদিন আগে অনুব্রত বলেছিলেন, বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই। আমিও ঠিক সেই কথায় বলছি, এই জেলাতেও সেই কারবার চলছে।” তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, “আমাকে ঢিল মারলে, আমি পাথর মারি। এটাই আমার অভ্যাস।”
রাজ্য নেতৃত্বকেও আরও একবার সতর্ক করেন ভরতপুরের বিধায়ক। বলেন, “আমি ভরতপুরে ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলাম; এখন লোকসভার লিড ১৭ হাজারে নেমে এসেছে-এই দায় নেবে জেলা নেতারা। রাজ্য এই কাঠিবাজি বন্ধ না করলে আমি সবসময় প্রস্তুত আছি; রাস্তায় যেখানে দেখব সেখানে বিক্ষোভ দেখাব।” যদিও হুমায়ুনের বিস্ফোরক অভিযোগের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া অপূর্ব সরকারের তরফে পাওয়া যায়নি। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভরতপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা ? সেটাই এখন দেখার।