অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: জাল জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি হচ্ছিল হাসপাতালেই! অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এবার পুলিশের জালে হাসপাতালেরই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। ধৃতের নাম পার্থ সাহা। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল নবজিৎ গুহ নিয়োগী অন্য একজনকে। তিনি আবার বিডিও অফিসে কর্মরত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে। ঘটনায় আর কারা জড়িয়ে? চক্রের জল কত দূর ছড়িয়ে? সেই বিষয়ে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে জাল জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি হচ্ছে! সেই অভিযোগ উঠেছিল। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য সংগ্রহ করে। হাসপাতালের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পার্থ সাহা নামে এক যুবক ওই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। নবজিৎ গুহ নিয়োগী নামে এক যুবকের নামও উঠে আসে। তিনি নকশালবাড়ি বিডিও অফিসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে কর্মরত। তাঁকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জানা যায়, ৪৫০টি জাল জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি হয়েছিল। ওই জাল নথি পরবর্তীতে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য সরকারি নথি তৈরিতে ব্যবহার হত বলে অভিযোগ। এই জাল শংসাপত্র তৈরিতে মোটা টাকা নেওয়া হত বলেও অভিযোগ।
জেরায় নবজিৎ জানিয়েছে, প্রতিটি শংসাপত্র তৈরির জন্য পার্থ তাঁকে কয়েক হাজার টাকা করতে দিত। ঘটনা জানাজানির পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ। এবার তাঁকেও গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ।