খুব শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো, বদলের ভাবনা ব্লু লাইনেও
প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
নব্যেন্দু হাজরা: ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্টের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। ওই অংশে কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর ৪১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একথা জানালেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার শুভ্রাংশু মিশ্র। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০২৯ সালের মধ্যে জোকা-এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে পুরনো ব্লু লাইনের নিত্যদিনের যে সমস্যা তা সমাধানেও উদ্যোগের কথা জানান জিএম। বলেন, “ব্লু লাইনে নিয়মিত যে সমস্যা রয়েছে সেটা নিয়ে রাইটস কাজ করছে। সিবিটিসি (কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল)-র কাজ শুরু করার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।” অর্থাৎ ব্লু লাইনে সিগন্যালিং সিস্টেমই আমূল বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে আরও কম সময়ের ব্যবধানে ছুটবে ট্রেন।
২৪শে অক্টোবর, কলকাতা মেট্রো তার ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে। ১৯৮৪ সালে এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজি ভবন) পর্যন্ত ভারতের প্রথম মেট্রো পরিষেবা চালুর দিনটিকে স্মরণ করে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। নতুন এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে মেট্রোর জিএম শুভ্রাংশু মিশ্র মেট্রো রেলওয়ের সাফল্য এবং তার বিস্তার নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন বলেন, “মেট্রো কলকাতার সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত এবং দেশের অন্যান্য অংশে মেট্রো সংযোগের পথপ্রদর্শক হয়েছে।” মেট্রো-চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় যাত্রীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা ও কাগজের টিকিট ও টোকেনের পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে যাত্রীদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে এক জাদু প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।
জিএম এদিন বলেন, “চিংড়িঘাটার মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ যেটা আটকে ছিল সেটি নভেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। নভেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি মেট্রোর বিস্তার নিয়েও এদিন আশার কথা জানান। বলেন, “মেট্রোরেল আরও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মোট ৫৭ কিলোমিটার যাত্রাপথে ইতিমধ্যেই অনুমতি পাওয়া গেছে। ২০২৬-এর মধ্যে ২৯ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে ১৯ কিলোমিটার যাত্রী পরিষেবার জন্য চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। ২০২৯-এর মধ্যে পার্পল লাইন, যেটি জোকা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চলবে সেই কাজ শেষ করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মাইকেল নগর ২০২৯-এর মধ্যে অরেঞ্জ লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে এয়ারপোর্টে।