• দেবী বাবু হয়ে বসে সিংহের উপর, সঙ্গী চার সখী! বেনিয়াটোলা পালবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শতাব্দীপ্রাচীন
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো। নাম শুনলেই মাথায় আসে কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের নাম। গঙ্গাপাড়ের চন্দননগর তো জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্মের শহর কৃষ্ণনগরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। বাংলার রাজধানী কলকাতা এই পুজোয় জেলার এই দুই শহরের থেকে পিছিয়ে থাকলেও, ঐতিহ্যের দিক থেকে কম যায় না। একশো বছরের বেশি পুরনো হয় সুতানুটি অঞ্চলে।

    সালটা ১৯০০। শোভাবাজার অঞ্চলে বিরাট বাড়ি তৈরি করেন বিখ্যাত ওষুধ ব্যবসায়ী বটকৃষ্ণ পাল। তিনি আদতে হাওড়ার বাসিন্দা হলেও পড়াশোনা ও ব্যবসার কাজে জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটিয়েছেন কলকাতায়। পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তারপর বাড়ি তৈরি করেন।

    বেনিয়াটোলায় বাড়ি তৈরি করার পর জগদ্ধাত্রী পুজো করেন বটকৃষ্ণ। তার পিছনে ছিল দুর্গাপুজোর প্রভাব। বটকৃষ্ণের গ্রামের বাড়ি অর্থাৎ হাওড়ার শিবপুরে অভয়দুর্গার পুজো হত। সেই ধারা অনুসারে, তিনি হৈমন্তীকার পুজো শুরু করেন।

    বেনিয়াটোলার পাল বাড়িতে মায়ের রূপও কিছুটা আলাদা। এখানে দেবীর বাহন সিংহই। তবে তিনি তার উপর দুই পা মুড়ে বাবু হয়ে বসে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে তাঁর চার সখী। সিংহের গায়ের পশম বানানো হয় আকন্দের তুলো দিয়ে। চালচ্চিত্রের বিশেষ সজ্জা চোখ কাড়ে। প্রতিমাকে স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হয়। এই বাড়িতে নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। ঠিক যে রীতিতে বটকৃষ্ণ পুজো শুরু করেছিলেন, আজও রীতিমতো সেই ভাবেই পুজো হয়ে আসছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)