মহারাষ্ট্রের এক তরুণী চিকিৎসককে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। হাতের তালুতে অভিযুক্তদের নাম লিখে গিয়েছেন ২৬ বছর বয়সি ওই চিকিৎসক। এই ঘটনায় শনিবারই এক জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাইছেন ওই চিকিৎসকের বাবা। এই জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই শাস্তি ছাড়া তাঁর আর কিছুই চাওয়ার নেই বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসকের বাবা।
অন্য দিকে, শনিবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ছেন, ওই চিকিৎসককে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার যে অভিযোগ এসেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় দোষী কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। যে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ওই চিকিৎসক অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁকে সাসপেন্ড করাও হয়েছে। এই নিয়ে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে তা বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ফলটনের একটি সরকারি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তরুণী। গত ২৩ অক্টোবর হোটেলের রুম থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মঘাতী হওয়ার আগে বাঁ হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন তিনি। তাতেই তিনি বাড়িওয়ালার ছেলে প্রশান্ত বাঙ্কার এবং গোপাল বদন নামের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ওই চিকিৎসক।
শনিবার সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রশান্তকে। তবে গোপাল বদন এখনও পলাতক।
পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্তর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই চিকিৎসকের বলেও দাবি পুলিশের। তবে গোপাল বদন তরুণী চিকিৎসককে চারবার ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এ দিকে, ওই তরণীর বাবা জানিয়েছেন, তিনি চান যাদের জন্য তাঁর মেয়েকে মরতে হয়েছে তাদের যেন ফাঁসি হয়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা যেন অন্য কারোর সঙ্গে না হয় তাও চাইছেন তিনি। তাঁর দাবি, যখন তাঁর মেয়ের ওপর অত্যাচার হয় তখন তাঁকে বাঁচাতে কোনও ‘কৃষ্ণ’ এগিয়ে আসেনি।