পার্থ চৌধুরী: বোডিং স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ঘটে গেল বড় অঘটন। শুক্রবার পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খালে স্নান করতে গিয়ে আর ফিরল না সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর কিশোর ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ মিলল বাড়ি থেকে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায়। চোখের সামনে নিথর ছেলেকে দেখা বাকরুদ্ধ বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের অদূরেই ভোতার মাঠপাড়া এলাকায়। মৃত পড়ুয়ার নাম মুন্সি কায়েশ হক(১৩)। বীরভূমের বোলপুরের একটি আবাসিক মিশনে পড়াশোনা করত কায়েশ। ছটফটে প্রাণবন্ত ছেলে এভাবে চলে যাবে মেনে নিতে পারছে না প্রতিবেশীরাও।
পুলিস ও পারিবারিক সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগেই ছুটিতে মিশন থেকে বাড়ি ফিরেছিল কায়েশ। শুক্রবার পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে পাশের সেচখালে স্নান করতে যায়। সেইসময় সে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা পাড়ায় খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তল্লাশিতে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। কিন্তু কোনও সুরাহ হয়নি।
শনিবার সকালে শক্তিগড়ের দেবগ্রামের বাসিন্দারা ওই ছাত্রের দেহ ভাসতে দেখেন। তারাই কায়েশের পরিবারকে খবর দেন। পরে পুলিস গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলে পাঠায়।
মৃত ছাত্রের বাবা জানান, তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। সরকারি তরফে ডুবুরি নামানো হয়। আজ দেহ উদ্ধার হয়। বন্ধুদের সঙ্গে ক্য়ানেলে স্নান করতে নেমেছিল। শুক্রবার ১১টা ১০ নাগাদ ও তলিয়ে যায়। ডুবুরি নামানো হয়েছিল। সন্ধে পর্যন্ত তল্লাশি হয়। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ শক্তিগড় থানার দেবগ্রামে ওর দেহ পাওয়া য়ায়।