• ছটপুজো ঘিরে তৎপর প্রশাসন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরাকাটার ঘাটে শুরু সংস্কারের কাজ
    প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • অরূপ বসাক, মালবাজার: আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার পালিত হতে চলেছে ছট পুজো। প্রতি বছরের মতো এবারও নাগরাকাটা ও মাল ব্লকের বিভিন্ন নদীঘাটে হাজার হাজার মানুষ পুজো দিতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু গত ৪ অক্টোবরের বন্যায় নাগরাকাটার একাধিক নদী ও ঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণে আগেভাগেই ঘাট সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।

    শনিবার নাগরাকাটার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শনে যান বিডিও পঙ্কজ কোনার, থানার আইসি কৌশিক কর্মকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর-সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা। জলঢাকা ও সুখানি নদী, সুলকাপাড়ার সুখানি নদী, লুকসান বাজার ও লুকসান মোড়ের কুজি ডায়না নদীর ঘাটগুলির পরিস্থিতি তারা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। সঞ্জয় কুজুর বলেন, “যে ঘাটগুলি সাম্প্রতিক প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে। ছট পুজোর সময় ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন।” তিনি আরও জানান, এখন নদীর জল কম থাকলেও পাহাড়ি এইসব নদীতে হঠাৎ জল বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনেই পুজো করতে হবে সকলকে।

    অন্যদিকে মাল ব্লকের মাল, চেল, লীস ও ঘীস নদীর ঘাটেও জোরকদমে চলছে সংস্কার ও প্রস্তুতির কাজ। পাহাড়ি বৃষ্টিতে ঘাটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগেভাগেই কোমর বেঁধে কাজে নেমেছে চেল নদী ছট পুজো কমিটি। শনিবার সকাল থেকেই নদীতে নামানো হয়েছে জেসিবি। শুরু হয়েছে ঘাট সংস্কার ও নদীর তলদেশে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ।

    চেল নদী পাহাড়ি নদী হওয়ায় আচমকা জলস্ফীতি দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে ঘাট নির্মাণে। কমিটির অন্যতম সদস্য শংকর মণ্ডল বলেন, “গঙ্গা পুজোর মধ্য দিয়ে ঘাট তৈরির কাজ চলছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘাটগুলিতে বাঁশের ব্যারিকেড, রবার টিউব, দড়ি ও লাইফ জ্যাকেটের মতো নিরাপত্তা সরঞ্জাম রাখা হবে। পাশাপাশি, এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্স টিমও মোতায়েন থাকবে। প্রশাসনের কড়া নির্দেশ মেনেই এবারের ছট পুজোর যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করা হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)