অর্ণব দাস, বারাকপুর: বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন নিয়ে নোংরা রাজনীতির চক্রান্ত, মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এনিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। শুক্রবার গারুলিয়ায় ছটপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁর হুঁশিয়ারি, সাতদিনের মধ্যে শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করবেন। এনিয়ে নতুন করে সরগরম বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি।
শুক্রবার গারুলিয়ার আজাদ হিন্দ ময়দানে ছটপুজো উপলক্ষে ব্রতীদের পুজোর সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির ‘বিহারী’ সংক্রান্ত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে একে একে বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ, নোয়াপাড়া, গারুলিয়া, জগদ্দল, বীজপুরের বিধায়কদের তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বলে বেড়ায় যে বিজেপি বিহার, ইউপি-র দল, হিন্দি বলা দল। এদিকে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি বলেছেন, এক বিহারি, শ বিমারি। তখন বিহারিদের অপমান করা হয় না? এটা নিয়ে কী বলবেন পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, সোমনাথ শ্যাম, সুনীল সিংরা?” তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপিকে হিন্দিভাষীর দল বলে লাগাতার মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল।
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের বিরোধিতায় শনিবার সরব হলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর পালটা দাবি, বাঙালি ও অবাঙালির মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির নোংরা রাজনীতির জন্যই শুভেন্দু একথা বলেছেন। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই কথা মেনে আমার বিধানসভায় এলাকায় সমস্ত ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। তারপরেও শুভেন্দু অধিকারী বাঙালি-অবাঙালি ভেদাভেদের মিথ্যা অভিযোগ আমাদের দলের বিরুদ্ধে তুলেছেন। আসলে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টার জন্যই তাঁর এই মন্তব্য। আমার মা একজন হিন্দিভাষী অবাঙালি। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে আমার মা অপমানিত হয়েছেন। তাই আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি উনি ক্ষমা না চান, তাহলে মানহানির মামলা করব।”