এসআইআরের তাড়ায় নিজেদের জালেই জড়িয়েছে বিজেপি, তথ্য-তোপ মন্ত্রী শশীর
প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআর নিয়ে তাড়াহুড়ো করে নিজেদের চক্রান্তের জালে নিজেরাই জড়িয়েছে বিজেপি। তথ্য তুলে ধরে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা’ ইস্যুকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে চাইলেও বিহারে বাদ যাওয়া ভোটারদের অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি– কোনও কিছুই বলতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাহলে কমিশনের দাগানো তথাকথিত এই ভুয়া ভোটাররা তাহলে কারা? কোনও জবাব দিতে পারেনি। এতেই প্রমাণ, যে বিজেপি কমিশনকে হাতিয়ার বানিয়ে নাগরিকদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে।
শনিবার দলের মুখপাত্র রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে সরব হন। শশীর প্রশ্ন, “যেখানে ২০০২-০৩ সালে এসআইআর সম্পূর্ণ করতে দু’বছর সময় লেগেছিল, সেখানে বাংলায় এসআইআর সম্পূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের তাড়াহুড়ো সন্দেহজনক। বিজেপি নেতারাই যদি ঠিক করেন কার নাম থাকবে, কার নাম বাদ যাবে, তাহলে কি এসআইআর বিজেপি সরকারই পরিচালনা করছে? নির্বাচন কমিশন কি তবে বিজেপির হাতের পুতুল? আসলে নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার বানিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে নাগরিকদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি।”
এর পরই বিহারের প্রসঙ্গ টেনে শশী বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানাক, কারা তথাকথিত অনুপ্রবেশকারী! বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে, কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে তারা ‘বাংলাদেশি’, ‘রোহিঙ্গা’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’। এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।” তাঁর প্রশ্ন, “প্রতি বছরই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সংশোধন ও রিভিশন করে। বিজেপি কি এখন সেটাও অস্বীকার করছে? যদি তারা দাবি করে ২০০২-২০০৩ থেকে সবই ভুল, তাহলে সেই তালিকা অনুযায়ী যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলোর বৈধতা কী? আর যদি সেই ভোটার তালিকায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হতে পারে, তাহলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন কেন হবে না?” মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, “নাগরিকত্ব নির্ধারণ করার অধিকার কখনওই নির্বাচন কমিশনের নয়, সেটি একমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক্তিয়ার। এই সত্যগুলো গোপন করা হচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”