• সীমান্তে মহড়ায় ভারতের তিন বাহিনী, পাকিস্তান বন্ধ করল আকাশপথ
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুরের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। তার মধ্যেই এবার পাকিস্তান সীমান্তে বড়ো মাপের সামরিক মহড়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১১ দিন আকাশ, স্থল ও জলপথে এই মহড়া চলবে। যাতে অংশ নেবে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মহড়ায় থাকবে রাফালের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানও। জল্পনা চলছে, সিন্দুরের সময় যে বিমানগুলি ধ্বংস হয়েছে বলে পাকিস্তান দাবি করেছিল,সেই বিমানগুলিকে হাজির করিয়ে বিশ্বকে বার্তা দিতে পারে ভারত। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিশূল’। যার জন্য পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় যাত্রীবাহী বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইতিমধ্যেই নোটাম (নোটিশ টু এয়ারমেন) জারি করেছে ভারত।  পাকিস্তান সীমান্তে টানা ১১দিন ধরে এত বড়ো মাপের মহড়া সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপকে কিছুটা ‘অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ত্রিশূল নিয়ে যে পাকিস্তানের অন্দরেও কাঁপুনি শুরু হয়েছে, তা তাদের কার্যকলাপেই স্পষ্ট। ভারতের পালটা হিসেবে তড়িঘড়ি ইসলামাবাদও সীমান্তের ওপারের আকাশসীমা বন্ধ করার জন্য নোটাম জারি করেছে। ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবর এই নির্দেশিকা বহাল থাকবে। কেন নোটিশ জারি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে পাকিস্তান জানায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পাক সেনাও নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য সীমান্তে মহড়া চালাতে পারে। আবার একটি মহল মনে করছে, সিন্দুরের আতঙ্ক এখনও পাকিস্তানকে তাড়া করছে। তাই ভারত আক্রমণ চালাতে পারে, এই আশঙ্কাতেই আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

    পশ্চিম ভারতের যে সব এলাকায় মহড়া চলবে, তার মধ্যে রয়েছে স্যর ক্রিক অঞ্চলও। কিছুদিন আগেই এই খাঁড়ি অঞ্চলে সেনা পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, স্যার ক্রিক নিয়ে কোনওরকম দুঃসাহস দেখালে, পাকিস্তানের ইতিহাস-ভূগোল বদলে দেওয়া হবে। তবে শুধুই মুখে হুঁশিয়ারি দেওয়া নয়। ওই খাঁড়ি অঞ্চল যে ভারতেরই অংশ তা বুঝিয়ে দিতেই সেখানে এবার মহড়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, তিন বাহিনীর যৌথ সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া এর মাধ্যমে তিন বাহিনীর উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও আত্মনির্ভরতাও বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে। সেনার সাদার্ন কমান্ডের অধীন বিভিন্ন বাহিনী এই মহড়ার অংশ নেবে। এর জন্য থর মরভূমি ও স্যার ক্রিকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সৌরাষ্ট্র উপকূলে জল ও স্থলে একসঙ্গে মহড়া চলবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)