গুয়াহাটি: অসমের কোকড়াঝোড়ে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু সন্দেহভাজন মাওবাদীর। পুলিশের দাবি, নিহত ইপিল মুর্মু ওরফে রোহিত মুর্মু সম্প্রতি কোকড়াঝোড়ে রেললাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত বছর ঝাড়খণ্ডেও একই ধরনের নাশকতায় নাম উঠে আসে কোকড়াঝোড়ের এই বাসিন্দার। তার খোঁজে অসমে এসেছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশের একটি দল। দুই রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযানে সাফল্য মিলেছে বলে খবর।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, একটি গ্রেনেড, ভোটার কার্ড ও ঝাড়খণ্ড থেকে জারি আধার কার্ড মিলেছে। কোকড়াঝাড়ের এসএসপি পুষ্পরাজ সিং জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে বিস্ফোরণের পরেই অসমে পালিয়ে আসে রোহিত মুর্মু। সেখানে সে নিজেকে ইপিল মুর্মু পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ ন্যাশনাল সাঁওতাল লিবারেশন আর্মির সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযুক্ত। ওই সংগঠন অস্ত্র সমর্পণ করে। যদিও ইপিল ওরফে রোহিত তাতে রাজি হয়নি। ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গিয়ে নতুন করে একটি সংগঠন গড়ে তুলে নিজেই তার কমান্ডার হয়। পরবর্তীকালে মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে ইপিলের। ২০১৫ সাল থেকে একাধিক নাশকতার সঙ্গে যোগ ছিল তার।