কার্বাইড পাইপগান ফাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ২০ জনের চিকিৎসা
বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কার্বাইড পাইপগান। এই বাজি বাজারে পাওয়া যায় না। ঘরেই তৈরি করা যায়। এবারের কালীপুজোয় এই কার্বাইড পাইপগান বানিয়ে ফাটাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনার খবর আসছে। অনেকের চোখ গুরুতর জখম হয়েছেন। অধিকাংশরই চোখ ও মুখের ক্ষতি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত এই কার্বাইড পাইপগানে জখম হয়ে চিকিৎসার জন্য অনেকে এসেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্ষু বিভাগে এরকম ২০ জন চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে সকলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রেফার করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অভিষেক ঘোষ।
দু’টি পাইপ যুক্ত করে তারমধ্যে কার্বাইড ও জল ঢেলে ঝাঁকিয়ে অগ্নিসংযোগ করলেই শব্দ করে আগুনের গোলা ও ধোঁয়া বেরিয়ে যায়। অনেক সময় আগুনের গোলা না বের হওয়ায়, নলের দিকে চোখ রেখে দেখতে গিয়েই ঘটছে দুর্ঘটনা। হঠাৎ করে সশব্দে ফেটে ঘটছে দুর্ঘটনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্বাইড পাইপগান তৈরির পদ্ধতি দেখে শিলিগুড়ি শহরের আশপাশ এলাকাতেও এধরনের পাইপগান তৈরি হয়েছে। তা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্তের চিকিৎসা পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে। কার্বাইডের ধোঁয়া ও আগুন চোখেমুখে লেগে ঝলসে যাচ্ছে। একজন বাচ্চার মুখ পুড়ে গিয়ে চোখেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের পিজিটি চিকিৎসক রাজর্ষি হালদার। এই কার্বাইড বন্দুক বিস্ফোরণে চোখের লেয়ার বসে যাচ্ছে। চোখে রক্ত জমাট বাঁধছে। আইরিশ ফেটে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে এই কার্বাইড বন্দুক থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বস্তরের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। না হলে ঘটে যেতে পারে আরও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। অনেককে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে হতে পারে। তাই কার্বাইড পাইপগান বিক্রি ও তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেন। -ফাইল চিত্র