• সাতসকালে ময়নাগুড়ি শহরে হাতি মাকনার হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি বাড়ি
    বর্তমান | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: শনিবার সকালে আচমকা ময়নাগুড়ি শহরে হাজির গজরাজ। রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াল শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পেটকাটিতে। এদিকে হাতির হামলায় এলাকার দু’টি বাড়ি সহ বিদ্যুতের একটি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে চা বাগানের। রেলগেট সংলগ্ন এলাকাতেও একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়নাগুড়ি জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পেটকাটি থেকে হাতিটি বেরিয়ে চলে আসে খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রেলগেট সংলগ্ন লোকালয়ে। এদিকে হাতি দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে হাতিটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযথা রাস্তায় কেউ ভিড় করবেন না। বাড়ি থেকে বের হবেন না। বনদপ্তর জানিয়েছে, হাতিটি মাখনা। কোন জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। শনিবার সকালে হাতির ছবি তুলতে গিয়ে জখম হন এক সাংবাদিক। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    শনিবার একদিকে হাতি ও অন্যদিকে উৎসাহীদের এলাকা থেকে সরাতে কালঘাম ছোটে বনদপ্তর ও পুলিশের। কখনও পেটকাটি, কখনও রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ছোটাছুটি করে হাতিটি। বনদপ্তরের ছ’টি রেঞ্জ ঘটনাস্থলে চলে আসে। বনদপ্তরের তরফে রেলকেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রেন ধীরে চালাতে বলা হয়। 

    পেটকাটি এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ রায় বলেন, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ আমার বাড়ির সামনের চা বাগানে হাতিটি চলে আসে। লোকজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। হঠাৎ করে হাতিটি আমাদের ঘরে হামলা চালায়। মেয়েকে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। বিরাট বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। আর এক বাসিন্দা সৈক্ষে রায় বলেন, হাতিটি আমাদের রান্নাঘরের ক্ষতি করেছে। কলাবাগানেরও ক্ষতি করেছে। অপর বাসিন্দা মুকুন্দ রায় বলেন, আমার চা বাগানের ক্ষতি হয়েছে। রেলগেট এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা রায় বলেন, হাতি যখন লোকালয়ে চলে আসে তখন বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার একটি ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। এতে ঘর ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাতিটি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। এডিএফও রাজীব দে বলেন, এলাকায় আমাদের নজরদারি চলছে। হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে মানুষজনের সচেতন হতে হবে। 

     ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)