সংবাদদাতা, মালদহ: যেখানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন, সেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে শনিবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি, বিজেপি নেত্রীর ছেলেকে মারধরের ঘটনায় ইংলিশবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরীকে এদিন গুণ্ডা বলেও আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে পাল্টা ছেলেমানুষ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সুকান্তের রুচি ও শিক্ষা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছেন কাকলির স্বামী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও।
এদিন মালদহে সুকান্ত বলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থেকেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এখানে অনেক আধিকারিক পদেই স্থায়ী নিয়োগ হয়নি। শিক্ষকদের আধিকারিক পদে বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হচ্ছে। এখানে একটা দুষ্ট চক্র চলছে। তৃণমূলের কিছু কাউন্সিলারই এর মূলে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে হস্তক্ষেপ করেন।
২০১২ সালের গোড়া থেকে সুকান্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তার আগে তিনি একটি সরকারি কলেজে পড়াতেন। সাংসদ হওয়ার পর থেকে সুকান্ত ‘স্পেশাল লিয়েন’ নিয়েছেন।
বিজেপি নেত্রী চন্দ্রাণী গোস্বামীর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলেকে মারধরের ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন কাকলি চৌধুরী তো একজন গুণ্ডা। স্বামীও (কৃষ্ণেন্দু) তাঁকে ভয় পান।
অন্যদিকে, চন্দ্রিমার কটাক্ষ, সুকান্তবাবু শিক্ষিত লোক। কিন্তু সম্প্রতি অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছেন। আসলে তিনি এখনও ছেলেমানুষ রয়ে গিয়েছেন। কাকলি তো ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে বিজেপির তফাৎ হলো, দলের নেতা, কর্মীদের অপরাধ আড়াল করি না।
কৃষ্ণেন্দু বলেন, সুকান্তবাবুর ভাষা শুনে হতবাক হয়ে যাচ্ছি। আগেও আমাকে মমি করে কবরে পাঠানোর কথা বলেছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে যা ঘটেছে, তা নেশাসক্তদের বিরুদ্ধে কিছু মানুষের ক্ষোভ। পুলিশ চাইলে আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখুক।