• ‘দাদাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু…’, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় নয়া দাবি ধৃতের বোনের
    এই সময় | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। মৃত্যুর আগে নিজের বাম হাতের তালুতে এক পুলিশ আধিকারিক এবং বাড়ি মালিকের ছেলের নাম লিখেছিলেন তিনি। একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ বার পাল্টা মুখ খুললেন বাড়ি মালিকের পরিবার। একটি প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অভিযুক্ত ওই যুবক। তাঁর বোন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত যুবককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মৃত চিকিৎসক। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তাঁর দাদা। 

    তিনি জানান, তাঁর দাদা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওই যুবককে নিয়মিত ফোন করতেন মৃত চিকিৎসক এবং নিগ্রহ করতেন, এই অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্তের বোন। 

    তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওই চিকিৎসক মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়ায় গত এক বছর ধরে আমাদের বাড়িতে ছিলেন। গত মাসে আমার দাদা ফলটনে আসেন। কারণ ওঁর ডেঙ্গি হয়েছিল। সেই সময়ে ওই চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন। তখনই ওঁরা একে অন্যের নম্বর নিয়েছিলেন। মৃত্যুর ১৫ দিন আগে ওই চিকিৎসক আমার দাদাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু দাদা তা গ্রহণ করেননি। দীপাবলির সময়েও ওই চিকিৎসককে উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম হয়তো কাজের চাপের জন্যই তিনি উদ্বেগে রয়েছেন।’

    ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে মৃত তরুণীর হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে কথোপকথনের তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই চিকিৎসক তাঁদের কাছে পরিবারের সদস্যের সমতুল্য ছিলেন বলেও দাবি অভিযুক্তের বোনের। এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ কল রেকর্ডিং এবং চ্যাট উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্ত এবং মৃতের মধ্যে। যেখানে ওই চিকিৎসক চাপ, স্ট্রেসের বিষয়ে কথা বলছেন।’ এই অভিযুক্তকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    উল্লেখ্য, ফলটনের একটি সরকারি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। গত ২৩ অক্টোবর হোটেলের রুম থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি মৃত্যুর আগে বাড়িওয়ালার ছেলে প্রশান্ত বাঙ্কার এবং গোপাল বদন নামের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। 

  • Link to this news (এই সময়)