• ঝগড়া শেষ না করেই চলে গেলেন স্ত্রী! রাগের মাথায় যমজ সন্তানের গলা কেটে দিল বাবা, শিউরে ওঠা কাণ্ড এই রাজ্যে ...
    আজকাল | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া। ঘুরতে বেরিয়ে মাঝ পথেই স্বামী-স্ত্রীর কলহ চরমে। যার জেরে মাঝ পথ থেকেই বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। আর তখনই রাগের মাথায় যমজ কন্যাসন্তানের উপর প্রতিশোধ নিল বাবা। দুই কন্যাসন্তানের গলা কেটে খুন করল সে। এরপর থানায় পৌঁছে নিজেই জানাল এই ঘটনার কথা। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুলধানা জেলায়। স্ত্রী, যমজ সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছিল রাহুল চৌহান নামের এক যুবক। মাঝ পথেই স্ত্রীর সঙ্গে তার তুমুল বচসা শুরু হয়। ঝগড়া থামিয়ে মাঝ পথ থেকে বাপের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন স্ত্রী। এদিকে যমজ সন্তানকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় রাহুল। খানিকটা পথ যাওয়ার পরেই যমজ কন্যাসন্তানকে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেখানেই দুই কন্যাসন্তানের গলা কেটে খুন করে সে। এরপর থানায় এসে নিজেই ঘটনাটি স্বীকার করে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যমজ কন্যাসন্তানের বয়স দু'বছর ছিল। অভিযুক্ত রাহুল ওয়াসিম জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল সে। রাগের মাথায় মাঝ পথেই যমজ কন্যাসন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে বাবা। খুনের পরেই ওয়াসিম থানায় সোজা পৌঁছে যায়। আত্মসমর্পণ করেই খুনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেয়। তড়িঘড়ি করে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। 

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, যমজ সন্তানের দেহ দু'টি আংশিক অগ্নিদগ্ধ ছিল। রাহুল যেভাবে খুনের বর্ণনা করেছে, তার সঙ্গে মৃত কন্যাসন্তানদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পুলিশের সন্দেহ, কীভাবে খুন করা হয়েছে, তা লুকোনোর জন্যেই যমজ কন্যাসন্তানকে জ্বালিয়েও দিতে পারে রাহুল। কীভাবে খুন করা হয়েছে, তা এখনও জানায়নি পুলিশ। 

    ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে। পাশাপাশি দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্যেও পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই খুনের কারণ জানা যাবে। পুলিশ আধিকারিক মণীশা কদম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এমন একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। দুই বছর বয়স হলেও, কথা বলতে পারত না খুদে সন্তান। স্পিচ থেরাপি চললেও, সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েই চরম পদক্ষেপ করলেন এক তরুণী। স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চল্লরী সাইলক্ষ্মী দুই বছরের যমজ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন। দুই বছরের যমজ সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন তিনি। যমজ সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই আত্মঘাতী হন তরুণী। 

    ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের বলানগরে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই যমজ সন্তানকে খুনের পর পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খুন ও আত্মহত্যার সময় সাইলক্ষ্মীর স্বামী অনিল কুমার কর্মক্ষেত্রে ছিলেন। তরুণীর পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই অনিল কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অনিল কুমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল সাইলক্ষ্মীর। সেই ঝামেলার কারণেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি।‌ স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তরুণী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাইলক্ষ্মী ঝাঁপিয়ে পড়ার পরেই প্রতিবেশীরা টের পান। তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তরুণীর ঘর থেকে যমজ সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিক টি নরসিংহ রাজু জানিয়েছেন, যমজ সন্তানের একজনের স্পিচ থেরাপি চলেছিল। দুই বছর বয়স হলেও, ঠিক মতো কথা বলতে পারত না সে। খুদে সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করেই অনিল ও সাইলক্ষ্মীর ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলাকে ঘিরেই চরম পদক্ষেপ করেন তরুণী। 
  • Link to this news (আজকাল)