• মহারাষ্ট্রে লাগাতার ধর্ষণের জেরে ‘আত্মঘাতী’ মহিলা চিকিৎসক! অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক
    প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণ করেছেন পুলিশ আধিকারিক! এই অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রে আত্মঘাতী হয়েছেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। সেই ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন মূল অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    শনিবার সকালেই ফল্টন পুলিশ প্রশান্ত বাঙ্কার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। পেশায় তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে তাঁর নামও ছিল। অন্যদিকে, সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ফল্টন গ্রামীণ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন গোপাল। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার হয়। 

    বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের বাঁ হাতে লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। পাঁচ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করেছেন।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোপালকে  সাসপেন্ড করা হয়। চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই জানা যায়, স্থানীয় ডিএসপির কাছে ফল্টনের তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। প্রবল মানসিক চাপ দিয়েছেন বাদনে-সহ তিনজন পুলিশ আধিকারিক, এই মর্মে চিঠি লেখেন চিকিৎসক। সেই চিঠি দেওয়ার মাসচারেকের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

    গোটা ঘটনায় মহাজুটি এনডিএ সরকারকে তুলোধোনা করেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে কং নেতা বিজয় নমদেবরাও ওয়াদেত্তিওয়ার লেখেন, ‘রক্ষকই তো ভক্ষক হয়ে গেল। পুলিশের কাজ রক্ষা করা, কিন্তু তারাই তো মহিলা চিকিৎসককে নির্যাতন করেছে। আসলে মহাজুটি সরকার এইভাবে পুলিশকে ঢাল করছে, তাই পুলিশও অত্যাচার চালাচ্ছে।’ যদিও মহাজুটি সরকারের তরফে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, চার মাস আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না? গোটা ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূলও। যদিও শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)