• প্রতিহিংসা থেকে রক্তে ‘বিষ’, ঝাড়খণ্ডের হাসপাতালে রক্ত সঞ্চালনের পর ৫ শিশুর HIV সংক্রমণ!
    প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার সরকারি হাসপাতাল। সেখানে এক চূড়ান্ত চিকিৎসা-অবহেলার শিকার হতে হয়েছে অন্তত পাঁচ শিশু। তাদের ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’ করানোর পর দেখা গিয়েছে, সকলেই আক্রান্ত এইআইচআইভি-তে। এরা সকলেই থ্যালাসেমিয়া রোগী। চাইবাসার ওই সদর হাসপাতাল এখন স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের কেন্দ্রে। প্রশ্ন উঠছে, পরিষেবায় কতটা অবহেলা থাকলে এমনটা হতে পারে? ‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা’ মোটিভও উঠে আসছে।

    প্রথমবার বিষয়টি নজরে আসে শুক্রবার। জানা যায়, এইচআইভি ধরা পড়েছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক সাত বছরের শিশুর শরীরে। পরিবারের দাবি, ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’ করতে গিয়ে সদর হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। দ্রুত পাঁচ সদস্যের এক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

    কিন্তু পরদিন, শনিবার বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়। আরও চার শিশুর রক্তে মেলে এইচআইভি-র উপস্থিতি। জানা গিয়েছে, একই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে নিয়মিত ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’ করানো হয় তাদেরও। তদন্তকারী মেডিক্যাল টিমের প্রধান ড. দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, ”প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই থ্যালাসেমিয়া রোগীদের দেহে দূষিত রক্ত প্রবেশ করানো হয়েছিল। তদন্তের সময় ব্লাড ব্যাঙ্কে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আপাতত, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে জরুরি অপারেশন মোডে রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের জন্য শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরই চিকিৎসা করা হবে।

    কী করে ঘটল এমনটা? কেবলই অবহেলা? ইতিমধ্যেই প্রথম আক্রান্ত শিশুর পরিবার জবাবদিহি চেয়ে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতা। এদিকে মানঝারি জেলা পরিষদের সদস্য মাধবচন্দ্র কুঙ্কল অভিযোগ করেছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা’! ওই ব্লাড ব্যাঙ্কের এক কর্মচারীর সঙ্গে প্রথম আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধ রয়েছে। গত এক বছর ধরেই তাঁদের মধ্যে একটি মামলা চলেছে আদালতে। এই প্রতিহিংসা থেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে রক্ত দূষিত করা হয়েছে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)