নিজস্ব সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যে পরিবারের নামই নেই,
সেই পরিবারের সদস্যকেই দেওয়া হয়েছে বিএলও-র দায়িত্ব। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ব্লকে। যা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
প্রশ্ন উঠেছে, যাদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নামই নেই তাঁরা যদি এই দায়িত্ব পান, তাহলে সেই কাজ কী করে সঠিক হবে? কৃষ্ণগঞ্জের দুর্গাপুরের ৭৫ নম্বর বুথের বিএলওর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মিলন রায়। গ্রামেরই দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও তাঁকেই ৭৫ নম্বর বুথের বিএলও-র দায়িত্ব দিয়েছেন। মিলন বলেন, “আমি ১৫ বছর ধরে এই বুথের বিএলওর দায়িত্ব সামলাচ্ছি।” মিলন রায়কে জিজ্ঞাসা করা হয়, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে মোট কতজনের নাম ছিল? তাঁর জবাব, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে ৭৫ নম্বর বুথে ৫৫৭জনের নাম ছিল। বর্তমানে ৭৫ নম্বর বুথে ১০১৬ জন ভোটার। একইসঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তাঁদের পরিবারের কারও নামই ছিল না। তাঁর দাবি, তিনি এই কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করছেন।
কৃষ্ণগঞ্জে এমন নজির আরও রয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মদন ঘোষ বলেন, “আমি কৃষ্ণগঞ্জের বিডিওকে এই ব্যাপারটা জানিয়েছিলাম। কিন্তু বিডিও কর্ণপাত করেননি।” তাঁর দাবি মিলন রায় বিজেপি করেন। বিজেপির রানাঘাট দক্ষিণ জেলার সম্পাদক অমিত প্রামাণিক ওই দাবি খারিজ করেছেন।