কালীপুজোয় পারা যায়নি। কিন্তু ছটপুজোয় যাতেতেমনটা না হয়, তাই বাজির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আয়োজকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও পরামর্শ ইতিমধ্যেই দিচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট। কিন্তু কালীপুজোয় নিয়মনা মানার যে প্রবণতা ছিল, ছটে কি সেই প্রবণতা আদৌ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে?
তবে বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে জলাশয় ঘিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ছট উপলক্ষে জলাশয়গুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নজরদারি, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জলাশয়ে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা ও জলের উচ্চতা বেঁধে নেট ম্যাপিং করার কাজও হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও নৌকা থাকবে জলাশয়ে। জলাশয়ের জল যাতে দূষিত না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকা জন্য করা হচ্ছে স্বাস্থ্য শিবিরও।
বাজির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বিধাননগরের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করছেন এবং বৈঠকেও বসেছেন। আয়োজকদের কাছেও নিয়মাবলী নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সবুজ বাজি ব্যবহারে দেওয়া হচ্ছে উৎসাহ।
কালীপুজো শেষ হতেই জলাশয় থেকে প্রতিমার কাঠামো দ্রুত তুলে নিয়ে ছটের প্রস্তুতিশুরু হয়েছে। যেমন, বিমানবন্দর থানার অধীন গঙ্গানগরে একটি বড় জলাশয়ে ছট উপলক্ষে প্রায় হাজার তিরিশ মানুষের জমায়েত হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাহচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত সমিতিগুলিও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, ছট উপলক্ষে একাধিকজলাশয় ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে জলে নামতে গিয়ে বিপত্তি এড়ানো যায়। তেমনই নির্দেশিকা মেনেবাজির ব্যবহার যাতে হয়, সেই চেষ্টাও চলছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ সদস্য আফতাবউদ্দিন জানান, ছট উপলক্ষে জ্যাংড়া, হাতিয়াড়া, নারায়ণপুর-সহ একাধিক জায়গার জলাশয়ে আলো, জল সরবরাহ-সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণেও সচেতন করার চেষ্টা চলছে।
রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, ছট যাতে নির্বিঘ্নে পালন করা যায়, সে জন্য সব রকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণেও সচেতনতার প্রচার চলবে।