কিরণ মান্না ও রণজয় সিংহ: শুভেন্দুর খাসতালুক খেজুরির দুখীরবাড়ি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতা শেখ আবেদ আলি! আরো ৬০টি পরিবার তার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছে। শুভেন্দুর জেলা থেকে সংখ্যালঘুদের যোগদানের শুরু এবার সর্বত্র যোগদানের পালা চলবে। এমনটাই দাবি বিজেপির। খেজুরিতে এ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক শোরগোল। আবেদ আলি খেজুরি বিধানসভার খেজুরি ১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ও ১০১ নং মোক্তব বুথের বুথ সভাপতি শেখ আবেদ আলী।
খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, মন্ডল সভাপতি রবীন মান্না, সাধারণ সম্পাদক সৈকত জানা, সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ তৈমুর আলি সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শেখ আবেদ আলী যোগ দেন বিজেপিতে।
বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক দলের পতাকা তুলে দিয়ে শেখ আবেদ আলিকে স্বাগত জানান। আবেদ আলী বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি ও ভণ্ডামিতে বিরক্ত হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছি। আমার সঙ্গে আরও ৬০টি পরিবার শীঘ্রই বিজেপিতে আসবে।”
বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক বলেন, “তৃণমূলের অরাজকতা ও মিথ্যা সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আবেদ আলির মতো নেতারা এখন বিজেপিতে আসছেন।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, “ব্যক্তিগত স্বার্থে দলবদল করেছেন আবেদ আলি, এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”
এই যোগদানকে ঘিরে এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ তৈমুর আলির বক্তব্য, “তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে আটকে রেখেছিল, এখন মানুষ ভুল বোঝানো বুঝতে পেরেছে। বিজেপির আহ্বানেই সেই ভয় কাটিয়ে বিজেপির পথে হাঁটছে।”
অন্যদিকে, ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে ততই শুরু হয়েছে দলবদল। মালদহের গাজলে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চে শাহজাদপুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য লক্ষণ হাঁসদা-সহ বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করলেন। । মালদা উত্তের বিজেপি সভাপতি প্রতাপ সিং এর হাত থেকে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে নিলেন তারা। মালদা উত্তরের বিজেপি সভাপতি প্রতাপ সিং জানান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আজকে বিজেপিতে যোগদান করলেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য সহ তৃণমূল কর্মীরাও বিজেপিতে যোগদান করলেন। আজকে মানুষ ঠিক করে নিয়েছে এবার ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গড়ে উঠবে বাংলায়। সে ক্ষেত্রে মানুষের জোট বেধেছে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়যাত্রাকে আর কেউ আটকাতে পারবে না। গাজোল ব্লকের শাহজাদপুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য লক্ষণ হাজদা জানান তৃণমূল দল আর করা যাবে না। তৃণমূল দল দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এখানে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে আজকে ভারতীয় জনতা পার্টি যোগদান করলাম। এদিকে গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল হোসেন জানান যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ না। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করবে সেই দিন এখনো আসে নি। এটা বিজেপির সাজানো। বিজেপির লোককেই তৃণমূল সাজিয়ে যোগদান করানো হয়েছে। গাজোলে তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী।