• যমদ্বিতীয়ার পরদিন বড়কালীর বিসর্জনে ভয়ংকর কাণ্ড! খাদ্য়ে বিষক্রিয়ায় ঘোর আতঙ্ক এলাকা জুড়ে, অসুস্থ পুলিস-সহ বহু, মৃত...
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • অরূপ লাহা: কালী পুজোয় (Kali Puja 2025) খাদ্যে বিষক্রিয়ায় (Food Poison) অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন  পুলিসকর্মী-সহ মেলার দোকানিরা। বিষক্রিয়ায় মৃত্যুও হল এক দোকানির। ঘটনা ঘিরে শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান আউশগ্রামের (Ausgram) তকিপুর গ্রামে। 

    গুঞ্জন

    কালীপুজোর মেলা চলাকালীন খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন পুলিসকর্মী-সহ মোট সাতজন। এর মধ্যে শনিবার মেলায় আগত এক দোকানির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গুঞ্জন। মৃত ব্যক্তির নাম নরেশ পণ্ডিত, বাড়ি হাওড়া জেলার বেলুড়ে। মেলায় তিনি ট্যাটুর দোকানদারি করতেন।

    শনিসন্ধ্যায় 

    শনিবার সন্ধ্যায় তকিপুর গ্রামের একটি লাইব্রেরির কাছে ওই দোকানির দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রতি বছর যমদ্বিতীয়ার পরের দিন তকিপুর বড়কালী মায়ের বিসর্জন হয়। ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন থাকে প্রচুর পুলিসবাহিনী। এবারও একইভাবে ডিউটিতে ছিলেন পুলিসকর্মীরা। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। 

    খাবারে বিষ?

    অভিযোগ, প্রবীর মিত্র নামে গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডিউটিতে থাকা পুলিসকর্মীরা। অসুস্থ তিন পুলিসকর্মী-সহ মোট ছ'জন এখনও চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কিশোর রায়চৌধুরী জানান, পুজো কমিটির তরফে প্রবীর মিত্রকে খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শুনেছি, সেই খাবার খেয়েই বেশ কয়েকজন পুলিস অসুস্থ হয়েছেন। তবে যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি ওই খাবার খেয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। শুনেছি তিনি মদ্যপান করেছিলেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যদিও মিত্র বাড়ির গৃহকর্ত্রী রেখা মিত্র দাবি করেন, আমাদের বাড়ির খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়নি। আর যিনি মারা গিয়েছেন তিনি আমাদের বাড়িতে খাননি। যদিও মেলায় আসা দোকানিরা সবাই জানান, সবাই ওই মিত্রবাড়ির রান্না খেয়েছেন। আর ওই খাবার খেয়েই অসুস্থ হন পুলিসকর্মী-সহ মেলায় আসা দোকানিরা। 

    বিষক্রিয়া না, অন্য কিছু...

    অন্য দিকে, মৃত দোকানিকে ঘিরে গ্রাম জুড়ে এখন প্রশ্ন, এটা খাদ্যে বিষক্রিয়া নাকি, অন্য কারণ-- তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। রাতে গ্রামে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক ব্যানার্জী। রবিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। ঘটনায় আউশগ্রাম থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)