সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জীবিকা দিদি’দের জন্য আগেই বড়সড় ঘোষণা করেছিলেন। এবার বিহারের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের দিকে নজর দিলেন ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। একযোগে পঞ্চায়েত সদস্যদের জন্য গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা। যা কিনা আগামী নির্বাচনে গেমচেঞ্জার হতে পারে।
রবিবার তেজস্বী জানালেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে বিহারের পঞ্চায়েতি রাজ স্তরের জনপ্রতিনিধিদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পেনশন চালু করা হবে। ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কথায়, “আমাদের পঞ্চায়েতি রাজ আর গ্রাম কাছারির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পেনশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁরা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, যারা গণবণ্টন ব্যবস্থায় যুক্ত তাঁদের কমিশনও বাড়ানো হবে।”
ভোটের মুখে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি এবং রেশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের কমিশন বাড়ানোর এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তেজস্বী জানেন, এই পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব সংগঠন থাকে। ভাতা দ্বিগুণ হতে পারে, এই আশায় তাঁরা যদি নিজেদের সংগঠন নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে ভোটে করান, তাহলে বিজেপির শক্ত সংগঠনের মোকাবিলা করা যাবে। তাছাড়া গ্রাম কাছারি বা গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও অনেক সময় জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
এর আগে নীতীশ কুমারের মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা। বিহারে ‘জীবিকা দিদি’ হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ঘোষণা করেছেন, জীবিকা মাইনে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করা হবে। পাশপাশি, ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের ঋণে সুদ ছেড়ে দেওয়া হবে। তেজস্বী জানেন, মহিলাদের মধ্যে জনমত গঠনে এই জীবিকা দিদিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।