• খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের গড় উত্তরপ্রদেশ, ৬৫ হাজার কেন্দ্রে ২.৫৫ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান
    প্রতিদিন | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • হেমন্ত মৈথিল: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি উত্তরপ্রদেশের। রাজ্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরিতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সদ্য প্রকাশিত গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চের রিপোর্টে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাটকে ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের পাওয়ার হাউস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে ৬৫ হাজার খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ইউনিট। যেখানে ২.৫৫ লক্ষের বেশি মানুষ কর্মরত।

    রিপোর্ট বলছে, এখন পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ১৫টিরও বেশি কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পার্ক তৈরি করা হয়েছে। এই পার্কগুলি বরেলি, বারাবাঁকি, বারাণসী এবং গোরক্ষপুরের মতো জেলাগুলিতে স্থানীয় শিল্পগুলিকে এক নতুন প্রেরণা জোগাচ্ছে। বরেলিতে বিএল অ্যাগ্রো কর্তৃক ১,৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত ইন্টিগ্রেটেড অ্যাগ্রো প্রসেসিং হাবটি এই অঞ্চলের বৃহত্তম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এছাড়া সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি জেলায় এক হাজারটি করে নতুন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন। যা সম্পন্ন হলে রাজ্যের কৃষকদের আয় ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রামীণ এলাকায় বিরাট সংখ্যায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

    যোগী সরকারের লক্ষ্য ফল ও সবজি প্রক্রিয়াকরণে জোর দেওয়া এবং দাবি কৃষিজ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা। সেই লক্ষ্যে আগ্রায় আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার তৈরি হচ্ছে। যেখানে আলু ও অন্যান্য কন্দ ফসলের উপর গবেষণা করা হবে। এই কেন্দ্রের জেরে লাভবান হবেন কানপুর, ফারুখাবাদ এবং লখনউয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিকে। জানা যাচ্ছে, আমেরিকা, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভিয়েতনামের মতো দেশে ভারতের প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। যা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলির জন্য বিনিয়োগ ও রপ্তানির সুযোগ বাড়াবে।

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প নীতি ২০২৩’ এই খাতের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই নীতির অধীনে, এখনও পর্যন্ত ১৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এই নীতিতে উদ্যোক্তাদের উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি, ঋণে ছাড়, স্ট্যাম্প শুল্কে ছাড় এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)