• চাঁদপাড়ায় যুবতীকে হেনস্থায় ধৃত আরও ১
    আনন্দবাজার | ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • কালীপুজো দেখতে বেরিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় এক ইঞ্জিনিয়ার যুবতী হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর চিকিৎসক আত্মীয়-সহ চার জন। সে ঘটনায় পরের দিন রাতেই পুলিশ চার অভিযুক্তকে ধরেছিল। শনিবার আরও এক যুবককে ধরা হল।

    পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেলে ধৃত বিজয় দাস ওরফে বিজু স্থানীয় ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। সে হোটেলে কাজ করে। বনগাঁ পুলিশ-জেলার সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘চাঁদপাড়ার ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

    শুক্রবার আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’ এবং ‘অভয়া মঞ্চ’-এর সদস্যেরা। ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত প্রশাসন যা করেছে, তাতে সন্তুষ্ট।’’

    বিজেপির দাবি, ওই ঘটনার মূল চক্রী ‘বুধো’ এখনও অধরা। বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের কথায়, ‘‘বুধো একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত। তার নেতৃত্বে ওই এলাকায় গাঁজা, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া গড়ে উঠেছে। বহু বার অভিযোগ জানালেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বুধোর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এলাকাবাসীর দাবি, কয়েক বছর ধরে চাঁদপাড়ায় দুষ্কর্ম বাড়ছে। গত জানুয়ারিতে এলাকায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। সে পরে আত্মঘাতী হয়। শুক্রবার রাতে চাঁদপাড়ার একটি পানশালার লোকজনের সঙ্গে একটি ক্লাবের সদস্যদের মারপিট হয়। অভিযোগ, পানশালায় কাজ করা মহিলাদের কটূক্তি করা নিয়েই গোলমাল। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। সব মিলিয়ে চাঁদপাড়ায় পুলিশি টহল ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, রেললাইন লাগোয়া এলাকায় অন্ধকার জায়গায় নেশা ও জুয়ার ঠেক বসে। গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার জানান, এলাকায় আলো বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)