আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক বৈঠক ডাকল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও কী বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে তা বলা হয়নি।
তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আগামী বছরের নির্বাচনের আগে কয়েকটি রাজ্যে এসআইআরের দিন ঘোষণা করা হবে। বেশ কয়েক দফায় এসআইআর হতে পারে। প্রথম দফার এসআইআরে কোন কোন রাজ্যের নাম থাকবে তা হয়তো জানা যাবে সোমবারেই।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল ৪.১৫ নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রেস ব্রিফিংয়ের নেতৃত্ব দেবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। যদিও কমিশনের মিডিয়া ইনভাইটে স্পষ্টভাবে বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রেস কনফারেন্সের মূল ফোকাস হবে এই এসআইআরের সময়সূচি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৫টি রাজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করে SIR চালু করা হতে পারে।
বিশেষত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি চলা রাজ্যগুলোতে আগে হতে পারে। আগামী বছরে ভোটের মুখোমুখি হওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে তামিলনাডু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, অসম এবং পুদুচেরি।
এদিকে, সম্প্রতি ভোটার তালিকা আপডেট সম্পন্ন করা বিহার রাজ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৭.৪২ কোটি ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিহারে ভোট অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে, ৬ ও ১১ নভেম্বর, এবং গণনা হবে ১৪ নভেম্বর।
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাদের (CEOs) সঙ্গে দুইটি বৈঠক করেছে, SIR রোলআউট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের পূর্বের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব রাজ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বা আসন্ন, সেসব রাজ্যে ভোটার তালিকার সংস্করণ পরে করা হবে।
কারণ নির্বাচনের কাজ রয়েছে। এদিকে, অনেক রাজ্য আগের ভোটার তালিকা সংস্করণ অনলাইনে উপলব্ধ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লির CEO ওয়েবসাইটে ২০০৮ সালের ভোটার তালিকা রয়েছে, এবং উত্তরাখণ্ডের ওয়েবসাইটে ২০০৬ সালের তালিকা আছে।
অধিকাংশ রাজ্য শেষবার এসআইআর করেছে ২০০২-২০০৪ সালের মধ্যে। এই পুরনো তালিকাগুলো বর্তমান ভোটার তালিকা সংস্করণের জন্য রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যা নতুন ভোটারদের ইতিহাসের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করতে সাহায্য করবে।
ভোটার তালিকা সংস্করণের মূল লক্ষ্য অবৈধ ভাবে যাঁরা রাজ্যে বাস করছেন তাঁদের শনাক্ত করা এবং তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, যেখানে জন্মস্থান যাচাই করা হয়।
এটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে সম্প্রতি। কারণ বিভিন্ন রাজ্যে আশেপাশের দেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।