• ‘বিহার লালুকে চোর হিসেবেই চেনে’, তেজস্বীর প্রতিশ্রুতির পালটা কটাক্ষ উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাটের
    প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার নির্বাচনে আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে কার্যত ভুয়ো বলে তোপ দাগল বিজেপি। একইসঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর গোটা পরিবারকে চোর বলে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। রবিবার লালুপুত্র তেজস্বীর মুখে আরজেডির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি শোনার পর তাঁর কটাক্ষ, “লালু যাদব ও তাঁর গোটা পরিবার দুর্নীতি ও চুরির জন্য বিখ্যাত। লালুজিকে বিহার চোর হিসেবেই চেনে।”

    রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে তোপ দেগে সম্রাট বলেন, “লালুজিকে চোর হিসেবেই চেনে বিহারের মানুষ। লালুজি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই চুরি করতে শুরু করে দেন। অবলা প্রাণীদের খাদ্য খেয়ে নেন, বিহারের আলকাতরা খেয়ে নিয়েছেন। এরপর যখন রেলমন্ত্রী হলেন তখন চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়া শুরু করলেন। ওনার শাসনে বিহারে মাত্র ৯৪ হাজার মানুষ সরকারি চাকরি পেয়েছেন। অথচ নীতীশজির শাসনে সাড়ে ১৮ লক্ষ মানুষ সরকারি চাকরি পেয়েছেন। পাশাপাশি এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এনডিএ শাসনে। ফলে বিহারের মানুষ জানে একদিনে উন্নয়নমুখী সরকার অন্যদিকে ঘোষণার সরকার। রং চড়ানোর সরকার।”

    নির্বাচন উপলক্ষে তেজস্বী যাদব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের প্রতি পরিবারে একজনকে সরকারি চাকরি দেবেন। এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে সম্রাট বলেন, “২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে সরকারি চাকরি দিতে হলে ১২লক্ষ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেখানে বিহারের বাজেট ৩ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি। এর মধ্যে ২ লক্ষ কোটির কেশি মোদি সরকার দিয়েছে। আমাদের রাজ্যের সামর্থ্য মাত্র ৭০ হাজার কোটি। এখন ৮৫ হাজার কোটি বেতন বাবদ আমরা দেই যা ২২ লক্ষ কর্মীর বেতন। ফলে ২.৫০ লক্ষ মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে। জীবিকা দিদিদের টাকা দেবে বলছে এর জন্য ৫ লক্ষ কোটি প্রয়োজন। অর্থাৎ ২ প্রকল্পে ১৭ লক্ষ কোটি। কোথা থেকে দেবে। ফলে যে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও ভিত্তি নেই।”

    উল্লেখ্য, রবিবার তেজস্বী জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে বিহারের পঞ্চায়েতি রাজ স্তরের জনপ্রতিনিধিদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পেনশন চালু করা হবে। ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কথায়, “আমাদের পঞ্চায়েতি রাজ আর গ্রাম কাছারির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পেনশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁরা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, যারা গণবণ্টন ব্যবস্থায় যুক্ত তাঁদের কমিশনও বাড়ানো হবে।” বিহারে ‘জীবিকা দিদি’ হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ঘোষণা করেছেন, জীবিকা মাইনে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করা হবে। এপ্রসঙ্গেই এবার আরজেডিকে নিশানায় নিল বিজেপি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)