এত্ত বড়, সত্যি! এবার ৭৫ ফুটের জগদ্ধাত্রী গড়ে চমকে দিল চন্দননগরের এই পুজো
প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: গত কয়েকবছর আগে সবথেকে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে গোটা বাংলাকে চমক দেয় কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুবিশাল মাতৃ প্রতিমার রূপ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। এবার সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করে চমক দিতে চলেছে চন্দননগরের অন্যতম ক্লাব কানাইলাল পল্লী।
পুজোর চারদিন চন্দননগরে দর্শনার্থীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না৷ কানাইলাল পল্লীর পুজো এবার ৫২ বছরে পদার্পণ করেছে। থিমের ভিড়ে অন্য রকম একটু চমক দিতে চাইছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। সে কথা মাথায় রেখেই এবার সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করেছে এই ক্লাব। সাধারণত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার উচ্চতা হয়ে থাকে ২৬ ফুটের মধ্যে। কিন্তু সেই সীমা এবার ছাড়িয়ে গিয়েছে কানাইলাল পল্লী। জানা যায়, তাদের প্রতিমার উচ্চতা ৭৫ ফুট। একেবারে ফাইবার দিয়ে এই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার ফাইবার কাস্টিং শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। সুবিশাল প্রতিমা তৈরি করেছেন দত্তপুকুরের ফাইবার শিল্পীরাই। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, এটি বিশ্বের সবথেকে বড় প্রতিমা।
পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার জানিয়েছেন, “কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা তৈরি করেছিল । আমরা জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেই চমক এনেছি । চন্দননগরের খর, মাটি দিয়ে যে প্রতিমা তৈরি হয় তার ওজন অনেক বেশি হয় । সবচেয়ে বড় প্রতিমা তৈরিতে তাই আমরা ফাইবার ব্যবহার করেছি। প্রতিমার উচ্চতা আনুমানিক ৭৫ ফুট। মণ্ডপের বাইরে থেকেও দর্শন করা যাবে।” বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, ”এত বড় জগদ্ধাত্রী আগে কেউ কখন তৈরি করেনি। তবে প্রশাসনের তরফে মণ্ডপের উচ্চতা কমাতে বলা হয়েছিল।” তা মেনে এবং প্রশাসনের সমস্ত নিয়মকে মেনে এই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ পোদ্দার।
কিন্তু কীভাবে তৈরি হল সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী? পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, প্রথমে মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়। এরপর রেজিন এবং ফাইবার ব্যবহার করে বিশাল মূর্তির একাধিক টুকরো তৈরি করা হয়। সেই সমস্ত ফাইবার টুকরোগুলিকে এক এক করে লোহার ফ্রেমে আটকে মা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা, সিংহ, হাতি ও চালচিত্র তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চালচিত্রের মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের ফাইবার মূর্তিও। বিশ্বজিৎ পোদ্দারের কথায়, চন্দননগরের এবার এটি চমক হতে চলেছে। ফলে পুজোর দিনগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে।