২০০২-এর ভোটার লিস্টে আপনার নাম রয়েছে? কীভাবে দেখবেন? SIR-এ অংশ না নিলে কী হবে
প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজ, অফিস বা চায়ের দোকান-সর্বত্র এখন আলোচনার বিষয় একটাই, SIR। সকলের মনে হাজার হাজার প্রশ্ন। SIR হলে কী হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ তো আছেই, তবে অনেকেই ভাবছেন ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট কোথায় পাবেন। কীভাবেই বা নাম দেখবেন। কাদের নাম বাদ যেতে পারে। এই প্রতিবেদনে রইল তারই যাবতীয় তথ্য।
নির্বাচন কমিশনের তরফে ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়ের বিধানসভা অঞ্চল অনুযায়ী তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সঙ্গে মিলিয়ে ভোটাররা বাড়ি বসেই দেখে নিতে পারবেন নিজেদের নাম রয়েছে কি না।
SIR-এ কাদের নাম বাদ যেতে পারে ?
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় পরিবারের কারও নাম নেই এবং দেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তির নাম বাদ দিতে পারে কমিশন। বাদ পড়বে ভোটার তালিকায় থাকা মৃত ও অবৈধ ভোটারদের নাম।দু’ জায়গায় দুটি এপিক নম্বর থাকলে, একটি জায়গা থেকে নাম বাদ যাবে। কমিশনের যুক্তি, ভুয়ো ভোটাররা কারচুপি করে ১১ টি নথির যে কোনও একটি তৈরি করে ফেললেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা বা মায়ের নাম দেখাতে পারবেন না।
SIR-এ অংশ না নিলে কী হবে ?
SIR-এর পর ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের জন্য নতুন তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। কোনও ভোটার এসআইআরে অংশ না নিলে নতুন তালিকায় তাদের নাম থাকবে না।
SIR-এর ম্যাপিং কী?
২০০২ সালে এ রাজ্যে ভোটার ছিল ৪.৫৮ কোটি। তিন কোটি বেড়ে এখন রাজ্যে ভোটার সংখ্যা ৭.৬৫ কোটি। এর উপর ভিত্তি করেই চলছে ম্যাপিংয়ের কাজ। ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। যে সব ভোটারের নাম দুটি তালিকাতেই রয়েছে, সেগুলি ম্যাপিংয়ের আওতায় আসবে। এই ভোটাররা চিহ্নিত। তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা যে ভারতীয় নাগরিক, সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত নির্বাচন কমিশন। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কোনও নথির প্রয়োজন নেই।
SIR তালিকা পাওয়া যাবে কীভাবে?
SIR-এর মূল কাজ শেষ হওয়ার এক মাস পর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। কোনও ভুল বা অভিযোগ থাকলে খসড়া তালিকায় তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। বিহারের ক্ষেত্রে এইভাবেই কাজ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই নিয়ম বলবৎ হবে।
কিন্তু SIR কেন দরকার ?
প্রতি বছরই ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন। নতুন ভোটারের নাম যেমন যুক্ত হয়, তেমনই ভুয়ো এবং মৃত ভোটারের নাম বাদও যায়। তবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নাম তোলা এবং বাদ যাওয়া সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত নয়। তাই এবার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন।