নয়াদিল্লি: আগামী ১১ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা বিধানসভায় উপনির্বাচন। ভোটের ফলাফল বর্তমান সরকারের স্থায়ীত্বের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না ঠিকই। তাতে অবশ্য দুই সোরেনের লড়াই ঘিরে উত্তেজনায় কোনও ভাটা পড়ছে না। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা(জেএমএম) বিধায়ক রামদাস সোরেনের মৃত্যুতে ঘাটশিলা আসন খালি হয়। উপনির্বাচনে রামদাসের ছেলে সোমেশকে প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে চম্পই সোরেনের ছেলে বাবুলালকে টিকিট দিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
৩৯ বছরের সোমেশ পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, প্রয়াত পিতার প্রতি মানুষের ভালোবাসাই ভোটের বৈতরণী পার করিয়ে দেবে। সোমেশ বলছেন, ‘বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করতেই ভোট ময়দানে নেমেছি।’ জয়ী হলে ঘাটশিলাকে শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রয়াত বিধায়কের পুত্র। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য খনি খোলার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, হেমন্ত সোরেন সরকারের দুর্নীতি ও উন্নয়নের অভাবকে হাতিয়ার করছেন বিজেপি প্রার্থী বাবুলাল।
সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধী ইন্ডিয়া মহাজোটের অন্যতম শরিক হেমন্ত সোরেনের জেএমএম। তবে আসন্ন নির্বাচনে বিহারে আরজেডির সঙ্গে কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি হেমন্ত সোরেনের দল। এর জেরে কি সোমেশের ভোট কমতে পারে? দলের মুখপাত্র কুণাল সারঙ্গি এমন কোনও আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়,‘আমরা একজোট রয়েছি। উপনির্বাচনে এনডিএ’র বিরুদ্ধে লড়ছি। ঘাটশিলার উপনির্বাচনে বিহারের ঘটনার কোনও প্রভাব পড়বে না।’