সরকার গড়লে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দ্বিগুণ ভাতা ও পেনশন: তেজস্বী যাদব
বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
পাটনা: ইন্ডিয়া ব্লক ক্ষমতায় এলেই বিহারের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। মিলবে পেনশন ও বিমার সুবিধাও। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। দিনকয়েক পরেই ভোট। তাই নিজস্ব ভোটব্যাংক অটুট রাখতে ও সমাজের নানা স্তরের মানুষের মন পেতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যুযুধান শিবিরগুলি। তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছে বিরোধী শিবির। এই গুরুদায়িত্ব পালনে তৎপর লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী। তাই সর্বশক্তি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিহারের গ্রামাঞ্চলে নিজেদের জমি শক্ত করাই আরজেডির লক্ষ্য। এজন্য বিশেষ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেন তেজস্বী।
আরজেডি নেতা এদিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই পেনশনের দাবি তুলছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। সেকথা মাথায় রেখে তাঁদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। তাঁরা পেনশনও পাবেন। মিলবে ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধাও।’ প্রসঙ্গত, জুন মাসে নীতীশ কুমারের সরকার জেলা পরিষদের সভাধিপতির ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার করেছে। বেড়েছিল সহ সভাধিপতি ও মুখিয়াদের ভাতাও। এবার নীতীশের ছকেই আরও একধাপ এগিয়ে খেললেন তেজস্বী। একইসঙ্গে ক্ষৌরকার, ছুতোর ও মৃৎশিল্পীদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদহীন ঋণ প্রদানেরর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়েও একহাত নিয়েছেন তেজস্বী। সংখ্যালঘু প্রভাবিত কাটিহারের এক সভা থেকে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে এই আইনকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হবে। আসলে নীতীশ কুমারের মদতেই বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে আরএসএস ও বিজেপি। এই দলটিকে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’ বলে ডাকা উচিত। তেজস্বীর এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তাঁর কথায়, বিরোধীরা আমজনতার মধ্যে অযথা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শুধু একটা কথাই বলব, ওদের নিজের ওজন বুঝে কথা বলা উচিত।