নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে চার বছরের প্রত্যুষা কর্মকারের খুনের পুনর্নির্মাণ করল সোনারপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার বারুইপুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শনিবার রাত দুটোর পর এই খুনে ধৃত দাদু প্রণব ভট্টাচার্যকে নিয়ে আসা হয়েছিল কোদালিয়ার কদমতলার বাড়িতে। সঙ্গে ছিল প্রচুর পুলিশ। আধ ঘণ্টা ধরে চলে পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া। কীভাবে নিজের নাতনিকে খুন করেছেন, সবটাই হাতেকলমে দেখালেন প্রণববাবু। এতে স্তম্ভিত হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হতেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ওই বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কেন এত গোপনীয়তা? জানা গিয়েছে, নাতনি খুনে ধৃত দাদুর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা পাড়া। দিনের বেলায় তাঁকে এখানে এনে এই পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল তদন্তকারীদের। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গভীর অন্ধকারের মধ্যেই এই কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। এমনকী ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনও কিছুই টের পাননি। সূত্রের খবর, পুনর্নির্মাণের সময় একেবারে স্বাভাবিক, ভাবলেশহীন ছিলেন অভিযুক্ত ওই দাদু।