বেদিয়াপাড়ায় অটোচালক অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত
বর্তমান | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: কালীপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন থেকে ফিরে দমদমের বেদিয়াপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। নাগেরবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুশান্ত দাস। তাঁর বাড়ি বেদিয়াপাড়ার তারকনাথ কলোনিতে। নৈহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক অভিযুক্ত সুমন ওরফে বাগান বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার রাতে বরানগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অপর অভিযুক্ত সাগর ওরফে গৌতম শিকদার পলাতক। স্থানীয় অটোচালক রঞ্জিত কর্মকারের পিঠে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তিন অভিযুক্তই স্থানীয় কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ বলে খবর। আরও অভিযোগ, অভিযুক্তদের বাঁচাতে কাউন্সিলারের দলবল আক্রান্তের পরিবারকে অর্থের টোপ ও হুমকি দিচ্ছে। যদিও প্রথম দিন থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন কাউন্সিলার।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেদিয়াপাড়া তারকনাথ কলোনির বাসিন্দা রঞ্জিত কর্মকার। অভিযুক্তরাও আক্রান্তের প্রতিবেশী। একইসঙ্গে তাঁদের ওঠাবসা ছিল। বুধবার রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ সবাই বাড়ি ফেরেন। এরপর সবাই ফের আড্ডা জমিয়েছিলেন। কোনও একটি বাইকের তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি স্কুটার থেকে তেল বের করে তাতে দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা থেকে বচসা শুরু হয়। সেই সময় রঞ্জিতবাবুর পিঠে পেট্রল ছুড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর সিগারেট ধরানোর জন্য কেউ একজন দেশলাই ধরালে তাঁর পিঠে আগুন লেগে যায়। অভিযুক্তরা সহ স্থানীয় কয়েকজন সেই আগুন নিভিয়ে রঞ্জিতবাবুকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর নাগেরবাজার থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী রুবি কর্মকার বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।’ ধৃত সুশান্তকে এদিন বারাকপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানয়েছে, ধৃতকে জেরা করে ঘটনার প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা চলছে।