দেশজুড়ে SIR ঘোষণা আজই? হঠাৎই বিশেষ তৎপরতা নির্বাচন কমিশনে
আজকাল | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন আজ, সোমবার ২৭ অক্টোবর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকার Special Intensive Revision (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনের সময়সূচি ঘোষণা করতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জয়নেশ কুমার।
যদিও কমিশনের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, সংবাদ সংস্থা পিটিআই (PTI)-এর সূত্রে জানা গেছে যে আজকের সাংবাদিক বৈঠকেই মূলত এই বিশেষ সংশোধনের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করা হবে। জানা যাচ্ছে প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৫ রাজ্যে শুরু হবে বিশেষ সংশোধন
নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি রাজ্যে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সেই সব রাজ্য, যেখানে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম ও পুদুচেরি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
বিহারে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। বিহার রাজ্যে সম্প্রতি ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় প্রায় ৭ কোটি ৪২ লক্ষ নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রাজ্যটি দুই দফায় ভোট দেবে — ৬ ও ১১ নভেম্বর, আর ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।
দুই দফা বৈঠকে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEOs) সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে।
স্থানীয় নির্বাচনের কারণে কিছু রাজ্যে দেরিতে করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পিটিআই সূত্রে আরও জানা গেছে, যেসব রাজ্যে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন বর্তমানে চলছে বা শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেসব রাজ্যে এই সংশোধন প্রক্রিয়া আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হবে। কারণ স্থানীয় নির্বাচনের কাজে প্রশাসনিক যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যেই ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, অনেক রাজ্যই আগের ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করেছে। যেমন দিল্লির প্রধান নির্বাচন দপ্তরের ওয়েবসাইটে ২০০৮ সালের ভোটার তালিকা এবং উত্তরাখণ্ডে ২০০৬ সালের তালিকা পাওয়া যায়। অধিকাংশ রাজ্যেই ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে শেষবার নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছিল। সেই পুরনো তালিকাগুলিই এখন মূল রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে পুরনো ভোটারদের নামের সঙ্গে বর্তমান ভোটারদের তথ্য মিলিয়ে দেখা যায়।
এই ভোটার তালিকা সংশোধনের মূল উদ্দেশ্যগুলির একটি হল বেআইনি বিদেশি অভিবাসীদের নাম চিহ্নিত ও অপসারণ করা। এজন্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ময়ানমার থেকে আগত অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে এই সংশোধন প্রক্রিয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের আজকের ঘোষণার পর রাজ্যভিত্তিক সংশোধন ক্যালেন্ডার, ভোটার তালিকা পর্যালোচনার পদ্ধতি এবং আবেদন জমাদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা জানা যাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে আশা করা হচ্ছে।