• সক্রিয় অনন্ত, সংখ্যালঘুদের নিয়ে বৈঠক
    আনন্দবাজার | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • বিধানসভা নির্বাচনের দেরি নেই। ভোটের দামামা বাজারে আগেই সক্রিয় হলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নগেন্দ্র রায় তথা অনন্ত মহারাজ। ইতিমধ্যে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। রবিবার নিজের বাসভবনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়েও একটি সভা করেন অনন্ত।

    সংগঠন সূত্রে খবর, ওই সভা থেকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে সওয়াল করেন। সংখ্যালঘুদের তা নিয়ে কোনও ভয় নেই বলেই আশ্বাস দেন। ওই বৈঠকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখানে প্রকাশ্য সভা হয়ে গিয়েছে। তাই সব বিষয়ে আলোচনা করা যাচ্ছে না।’’ একাধিক বার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অনন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন, দেশের স্বার্থেই ‘এসআইআর’ হচ্ছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সহমত পোষণ করবেন বলে তাঁর ধারণা।

    বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদের একটি ভিডিয়ো (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে হয়েছে তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাজবংশী সমাজ অসহায় বোধ করছে। কারণ বাম, তৃণমূল বা বিজেপি কেউই রাজবংশীর স্বার্থে কাজ করেনি।’’

    তাঁর ওই বক্তব্যকে অবশ্য তৃণমূল গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিজেপির সাংসদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এখন তিনি এসআইআর নিয়ে বলছেন। অথচ এসআইআরের নিয়ে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো হচ্ছে তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। আমরা চাই এক জনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়।’’

    বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, ‘‘এসআইআর নিয়ে বিজেপির বক্তব্য পরিষ্কার। তৃণমূল অহেতুক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে।’’

    কোচবিহার জেলার নয় আসনের মধ্যে বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে ছয়টি। বাকি তিনটি তৃণমূলের দখলে। এ বারে কোচবিহারকে পাখির চোখ করেছে শাসক-বিরোধী দুই দলই। বিজেপি এ বারে আগে থেকেই অনন্ত মহারাজকে মাঠে চাইছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বিজেপির যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এবারে যাতে তা না হয় সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক দল। বিজেপি মনে করছে, অনন্ত মহারাজ কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনা করলেও শেষপর্যন্ত তিনি বিজেপির পক্ষেই থাকবেন। পাল্টা প্রচারে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে রাজ্যেরশাসক দলও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)