শিবির করে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে (সিএএ) আবেদন করাচ্ছে বিজেপি। অভিযোগ, সিএএতে আবেদন করলে ভোটার তালিকার বিশেষ নাগরিক সংশোধনে(এসআইআর) নাম থাকবে বলে শিবিরগুলিতে প্রচার করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে না।
রবিবার শিলিগুড়ি কাওয়াখালিতে বিজেপির তরফে এমন শিবির নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলের অভিযোগ, শিবিরগুলিতে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। তাতে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা।
বিজেপির দাবি, সিএএ সচেতনতায় রাজ্যেজুড়ে এক হাজারের মত শিবির করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপির শীর্ঘ নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গে শতাধিক শিবির হবে। সেখানে কিভাবে সিএএতে আবেদন করতে হবে তা বোঝানো হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের পরে দলীয় নেতারা বাড়ি বাড়ি যাবেন এবং বিষয়টি ভোটারদের বোঝাবেন।
বিজেপির একাংশ জানাচ্ছে, কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারলে বিজেপির প্রতি আস্তা তৈরি হবে। অন্যদিকে উদ্বাস্তুদের এসআইআর নাম থাকলে বিজেপির পালে হাওয়া উঠতে পারে। সেজন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এবং তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনও এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এলাকায় ঘুরে বৈঠক করছেন। অভিযোগ, তাতেই সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলার কোনও প্রশ্নই নেই। নাগরিকত্ব দিতেই এই আবেদন। কাউকে জোর করে করানো হচ্ছে না।’’ তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে ভারতে আগতদের এই আবেদন করতে বলা হচ্ছে। তাতে তৃণমূলের নেতা, কর্মীরাও আবেদন করতে পারেন।’ আজ সোমবার শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি নেতাদের নিয়ে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অফিসে বৈঠক করবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে। সেখানে সিএএ এবং এসআইআর নিয়ে প্রশিক্ষণ পর্ব হওয়ার কথা।
বিজেপির অভিযোগ, এসআইআর হলে রাজ্যজুড়ে এক কোটি অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে। এতদিন সেই ভুয়ো ভোটারদের ফয়দা তুলছে তৃণমূল। কেউ নাগরিকত্ব পেলে যদি তৃণমূলের ভোট কমে সেজন্যই হয়ত সিএএতে বাধা এবং এসআইআর বন্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তৃণমূল।দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি সিএএ এবং এসআইআরের নামে রাজনীতি করতে শিবিরগুলি করছে। তাতে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা হলে প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নেবে।"