একটি আবাসনে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধরেরঅভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল সোনারপুরে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছেপুলিশ। তবে সকলেই জামিন পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ অক্টোবর রাতে। সোনারপুর পুরসভার ২৫ নম্বরওয়ার্ডের একটি আবাসনের বাসিন্দা, পেশায় শুল্ক দফতরের ইনস্পেক্টর প্রদীপ কুমারের গাড়ির সঙ্গে একটি অটোর ধাক্কা লাগে বলে দাবি। অভিযোগ, প্রদীপ অটোচালককে প্রথমে ঘুষি ও পরে রাস্তায় ফেলেমারধর করেন। কিছু ক্ষণ পরে ওই চালক লোকজন নিয়ে আবাসনে ঢুকে প্রদীপের ফ্ল্যাটে চড়াও হন বলে অভিযোগ। আবাসনের একটি গেট ভেঙে ফেলা হয়। প্রদীপকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।প্রদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানা অটোচালক আজাদ মণ্ডল-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে। মারধরে মূল অভিযুক্ত আসিফ ঢালি শনিবার জামিন পান।আজাদ ও তাঁর দুই সঙ্গী সুরজ আলি মণ্ডল ও অলোক রায় জামিন পান রবিবার। ওই আবাসনের সম্পাদক নীতিশ বনসলের দাবি, “শ’দুয়েক লোক জড়ো হয়েছিল। ৩৫-৪০ জন ভিতরে ঢোকে। আবাসনের সকলে আতঙ্কে আছেন।” ঘটনার পরে প্রদীপ আবাসন ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলেও দাবি নীতিশের।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। প্রদীপের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। রবিবারপ্রদীপের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে সমাজমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ খবর পেয়েও দ্রুত আসেনি বলে দাবি তাঁর। পুলিশ এই অভিযোগ মানেনি। তৃণমূলও দলীয় যোগ অস্বীকার করেছে।