বেশি সংখ্যায় নজর ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধ কমছে বলে দাবি করল পুলিশ। চলতি বছরে জেলা জুড়ে নতুন করে ৭২১টি নজর ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। জেলা পুলিশের দাবি, জেলায় মোট নজর ক্যামেরার প্রায় ৪০ শতাংশ লাগানো হয়েছে চলতি বছরের প্রথম ন’মাসে। এই বিপুল সংখ্যায় নজর ক্যামেরা লাগানোর ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, বেআইনি কার্যকলাপ, অবৈধ পাচার প্রভৃতি অনেকাংশে রোখা গেছে বলে দাবি জেলা পুলিশের। আগামী দিনে জেলায় আরও বেশ কিছু নজর ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ।
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেলায় সমস্ত থানা এলাকায় চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮৪০টি নজর ক্যামেরা রয়েছে। তার মধ্যে ৭২১টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে সিউড়ি থানা এলাকায় ২৪৫টি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৫১টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে এ বছর। নলহাটি থানার ২২৪টি ক্যামেরার মধ্যে ১৭৩টিই লাগানো হয়েছে এ বছর। বোলপুর থানায় ১১২টি ক্যামেরার মধ্যে ১০৮টিই লাগানো হয়েছে এ বছর৷ এ ছাড়াও জেলায় শতাধিক নজর ক্য্যামেরা রয়েছে সাঁইথিয়া (১৪৭), শান্তিনিকেতন (১১৮) এবং মাড়গ্রাম থানা এলাকায়।
জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ১৮৪০টি নজর ক্যামেরার মধ্যে ৫২৭টি ক্যামেরার সমস্ত ফিড আসে জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে৷ সেই সমস্ত ফিড ২৪ ঘণ্টা নজর রাখার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা উপস্থিত থাকছেন কন্ট্রোল রুমে। যে কোনও ক্যামেরায় কোনও অনিয়ম ধরা পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় বা সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়ে দেন ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, যে যে এলাকায় অপরাধের সংখ্যা বেশি, যানজট বেশি পরিমাণে হয়, জেলার যেসব এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যাতায়াতের পরিমাণ বেশি সেখানে ক্যামেরা বেশি লাগানো হয়েছে। তা ছাড়া জেলার যে সমস্ত জায়গা রাজনৈতিকভাবে বা সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল, শহরের বাজার এলাকা ইত্যাদি জায়গাতেই এই নজর ক্যামেরাগুলি লাগানো হয়েছে। আগামী দিনে বোলপুর ও রামপুরহাট থানা এলাকায় আরও বেশি সংখ্যায় নজর ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আমনদীপ বলেন, ‘‘আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে জেলার সমস্ত নজর ক্যামেরার ফিড জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে আসার। এ ছাড়াও জেলা জুড়ে আরও অন্তত এক হাজার ক্যামেরা বসানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত তার ব্যবস্থা নেওয়া, যানজটের সমস্যা মেটানো, বেআইনি পাচার আটকানো এবং সর্বক্ষণের নজরদারির জন্য এই ক্যামেরাগুলি আমাদের বিশেষ সহায়ক হয়েছে।’’