• বারাসতে ফ্রি ক্লাসরুম শুরু সাংসদ কাকলির
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ‘এমপি স্কলারশিপ‍’-এর পর এবার ‘এমপি শিক্ষা মিশন’— আবার নজির গড়লেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার। লক্ষ্য, মেধাবী অথচ দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে শিক্ষাপ্রদান। বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহযোগিতায় বারাসতের বিদ্যাসাগর মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে রবিবার ‘এমপি শিক্ষা মিশন’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন কাকলি। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি একটি বিনামূল্যের ক্লাসরুম। প্রতি রবিবার সকালে এবং বিকালে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা পর্ষদের বিষয় এবং সিলেবাসভিত্তিক পাঠদান করবেন। প্রতি ক্লাসের সময়সীমা থাকবে দু’ঘন্টা। কোনো সপ্তাহে বিজ্ঞান বিভাগ, কোনো সপ্তাহে কলা বিভাগ, আবার কোনো সপ্তাহ বাংলা-ইংরেজি অর্থাৎ ভাষার ক্লাস করানো হবে। এই ক্লাসরুম চলবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টের আগে পর্যন্ত। সাংসদের আহ্বান, ‘প্রতি রবিবার এসে ছেলেমেয়েরা ক্লাস করে যাবে। জীবনে ভালো ফলাফল করতে হবে, এটাই লক্ষ্য নাও।’

    রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় অগ্রগতির খতিয়ান তুলে কাকলি বলেন, ‘বাড়িতে শিক্ষক রেখে পড়ানোর মত সকলের অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। তবে আমরা শিক্ষায় যে পরিকাঠামো পাইনি, মমতা বন্দোপাধ্যায় তা করেছেন। ২০১১ সালে রাজ্যে স্কুলের সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৩২৬টি, যা ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪ হাজার ৭৪৪টি হয়েছে। কলেজের সংখ্যা ৩৬৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫১৪টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে ৫৮টি। প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ হাজার ২৯৯, উচ্চ প্রাথমিক ৮ হাজার ৭৩৫ এবং উচ্চ মাধ্যমিক ৭ হাজার ৪১৯টি।’ এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রর মোদীর প্রতি কটাক্ষ করে কাকলির সংযোজন, ‘দেশের নেতা সেলফি তোলা শিখিয়েছেন, আজ ছাত্রছাত্রীরাও সেই পথে!’ ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পড়াশুনা ব্যতীত জাতির মেরুদন্ড সোজা হবে না।’

    ডাক্তার হওয়ার জীবন যুদ্ধের কাহিনি শুনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেছেন সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার কর্মজীবনে সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসককে আল্ট্রাসাউন্ড শিখিয়েছি। ভারতবর্ষে আমিই প্রথম ওই বিষয়টি শিখেছিলাম বিদেশে গিয়ে। সুতরাং, আমি একজন চিকিৎসক, শিক্ষক এবং প্রফেসরদের মা। সেখান থেকে আমার উপলব্ধি, বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমার এই উদ্যোগ।’ এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সুপারিটেন্ডেন্ট সুব্রত মন্ডল, বারাসাত পৌরসভা পৌরপারিষদ অরুণ ভৌমিক, পৌরপিতা দেবব্রত পাল, ডাঃ বিবর্তন সাহা, বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ মিত্র ওরফে বড়কা, যুবনেত্রী জয়া দত্ত, ছাত্র পরিষদের সভাপতি সোহম পাল, প্রমুখ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)