• ছটপুজোর দু’দিন রাসবাড়ি ঘাট ব্যবহারের অনুমতি হাইকোর্টের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ছটপুজোর দু’দিন বালির রাসবাড়ি গঙ্গার ঘাট ব্যবহার করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের পরে চলতি বছর এলাকায় ছট পুজো নিয়ে জটিলতা দূর হয়েছে। খুশি পুণ্যার্থীরা। বালির রাসবাড়ি গঙ্গার ঘাটে বহু বছর ধরে কয়েক হাজার মানুষ ছটপুজোর অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন। রাসবাড়ির এই স্নানঘাটটি জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ লেনের দাঁ বাড়ির সম্পত্তি। প্রতিবছরই ছটপুজোর সময় এই ঘাটে প্রচুর লোক সমাগম হয়। দূষণের মাত্রা বাড়ে। গঙ্গা সংলগ্ন পাঁচিল ও মাঠ-বাগান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও সুরাহা পাননি দাঁ বাড়ির সদস্যরা।

    এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সম্প্রতি হাইকোর্টের পুজোর অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল জানান, ওই সম্পত্তি দেবোত্তর হলেও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, সরকারি সম্পত্তি নয়। তাই এবার থেকে ছটের জন্যর আর ওই ঘাট ব্যবহার করা যাবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি রাজ্যের আবেদন বিবেচনা করে শুধুমাত্র ছটপুজোর দু’দিনের জন্য ঘাট ব্যবহারের অনুমতি দেন। পাশাপাশি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, দেবোত্তর সম্পত্তির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে রাসবাড়ি ঘাট ছটপুজো কমিটি। এলাকায় ছট পুজো নিয়ে জটিলতা দূর হওয়ায় খুশি পুণ্যার্থীরাও। আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে শিবকৃষ্ণ দাঁয়ের পুত্র পূর্ণচন্দ্র দাঁ ও শিবকৃষ্ণের সহধর্মিণী কাদম্বিনী দাসীর উদ্যোগে বেলুড়ের রাসবাড়ির ৪০ ফুট উঁচু নবরত্ন মন্দির, রাসমঞ্চ ইত্যাদি তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ২৪ ফুট উঁচু ছ’টি শিবমন্দির, নাটমন্দির, নহবতখানা, ভোগঘর ও বাগানও রয়েছে দাঁ পরিবারের। এই রাসবাড়ি তৈরির অনেক পরে হাওড়ায় বেলুড় মঠের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। গঙ্গাতীরের এই রাসবাড়িতে একটা সময় রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা আসতেন। এই এলাকায় রাসের মেলা বসত বলে এর নামকরণ রাসবাড়ি করা হয়।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)