অয়ন শর্মা: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু। তীব্র চাঞ্চল্য। শোরগোল। মৃত চিকিৎসকের নাম শুভজিৎ আচার্য। আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের শিশুর কুঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। রবিবার রাতেই তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হার্ট রেট কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ওষুধ খেতেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওষুধের অধিক মাত্রার কারণেই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত চিকিৎসকের দেহ বারাসত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কলকাতার দমদমের বাসিন্দা কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসক শালিনী দাসের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ভাড়াবাড়িতে 'রহস্যমৃত্যু' ঘটে দমদমের তরুণী চিকিৎসক শালিনী দাসের। জানা যায়, শালিনী সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যে বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে গিয়েছিলেন, সেখানেই চ্যানেল করিয়ে ওষুধ নিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর 'রহস্যমৃত্যু'তে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে নামে তমলুক থানার পুলিস। শেষে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয় তাঁর মৃত্যুর কারণ। জানা যায়, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে শালিনী দাস নামে ওই মহিলা চিকিৎসকের। কারণ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পোস্টমর্টেমে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন শালিনী দাস। হাইপারটেনশনের ওষুধ চলছিল।
তবে হাতের চ্যানেলে পুশ করা ওষুধের জেরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ভিসেরা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। স্যাম্পেল স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার অপেক্ষা।