১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দিতে হবে বাংলাকে, সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা কেন্দ্রের
প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা কেন্দ্রের। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রের আবেদন খারিজ। কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা দিতে হবে মোদি সরকারকে। নির্দেশে এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে নির্দেশ মেনে বাংলায় ফের একবার শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ। যা বড়সড় স্বস্তির খবর রাজ্যের জন্য।
গত তিনবছর ধরেই মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম প্রকল্পের অধীনে দিনমজুরির কাজের অর্থ পাচ্ছে না বাংলা। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার সোচ্চার হয়েছে। শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে বহু প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। এমনকী দিল্লির দরবারে গিয়েও দাবি পেশ করেছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু জনমুখী প্রকল্প চালু রাখার স্বার্থে তৃণমূলের যাবতীয় প্রচেষ্টা কার্যত ব্যর্থ করেছে কেন্দ্রের একগুঁয়েমি।
যদিও কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। দীর্ঘ শুনানিতে ১০০ দিনের কাজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এনিয়ে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছিল, তাতে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, আমজনতার কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু তাই নয়, আগস্ট থেকেই ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে বলে নির্দেশে জানায় হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র।
আজ বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে। যা অবশ্যই বড় জয় রাজ্য সরকারের কাছে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় সামনে আসতেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ”বিজেপির জমিদাররা আজ কোর্টে হারল, আগামীদিন এরা বাংলার ভোটে হারবে। এদের ঔদ্ধত্য, অহংকারই পতনের কারণ হবে।”