গাছে ঝুলছে দড়ি, নিচে পড়ে দেহ! মালদহে শ্বশুরবাড়িতে রহস্যমৃত্যু জামাইয়ের
প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: গাছে ঝুলছে দড়ি, নিচে পড়ে দেহ! শ্বশুরবাড়ির পাশ থেকে জামাইয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুর নওয়াদায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। যুবকের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের দাবি মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃত বছর বত্রিশের অমিত চৌধুরী। মালদহের ইংরেজবাজার থানার কাগমারি এলাকার বাসিন্দা। বছর তিনেক আগে মানিকচকের এনায়েতপুর অঞ্চলের নওয়াদা এলাকার বাসিন্দা শ্যামলী চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের এক বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে, দিনদুয়েক আগে অমিত তার স্ত্রী শ্যামলীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মনসা গান শুনতে আসেন। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনে গান শোনেন। এরপর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির ঠিক পাশেই অমিতের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে একটি গাছে দড়ি ঝুলতে দেখা যায় এবং মৃতদেহ নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। স্বভাবতই এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, অমিত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মিলে মারধর করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মৃতের স্ত্রী শ্যামলী চৌধুরীর দাবি, তাঁর বাপেরবাড়িতে কোনও অশান্তি হয়নি। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে রাতে গান শুনেছেন। রাত এগারোটা নাগাদ তিনি বাড়ি চলে আসেন। স্বামী কিছুক্ষণ পরে আসছে বলে বাইরে যান। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। তাই কীভাবে কী হল কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মানিকচক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।