• ‘ও আতঙ্কে ছিল’, তৃণমূল প্রতিনিধিদের জানাল কানপুরে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার
    প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কানপুরে কাজ করতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয়েছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death)। রেললাইনের মাঝখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রতীক হেমব্রম নামে ওই শ্রমিকের দেহ। আর সেই মৃত্যু নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই খবর পেতেই তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেল বীরভূমের গ্রামে, ওই শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। সোমবার সকালে দামোদরপুর গ্রামে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সাংসদ সামিরুল ইসলাম, আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, প্রশাসনের কর্তাব্যক্ত-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সামিরুল হোসেন-সহ ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি, ‘আদিবাসী-দলিত বিরোধী’ যোগী সরকারের রাজ্যে এই ঘটনার নেপথ্যে আসলে কী, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। পরে সোশাল মিডিয়াতেও এনিয়ে পোস্ট করে তৃণমূল।

    প্রতীক হেমব্রম নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নিয়ে কানপুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজে ঠিকমতো বেতন হতো না বলে অসন্তোষ ছিল তাঁর। বাড়ি ফিরে আসার কথা ভাবছিলেন। সোমবার প্রতীকের স্ত্রী জানিয়েছেন, শেষবার ২১ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছিল। তিনি তখনও ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর ২২ তারিখ স্বামীকে অনেকবার ফোন করেও পাননি। শেষে যখন প্রতীক ফোন ধরেন, তখন তাঁর গলায় আতঙ্ক ছিল স্পষ্ট। স্ত্রী জানতে চান, কিছু ঘটেছে কি না। তাতে প্রতীক জানান, কিছু হয়নি, তবে বারবার ফোন করায় স্ত্রীকে কিছুটা ভর্ৎসনা করেন। তখন থেকেই চিন্তা হচ্ছিল পরিবারের সদস্যদের।

    শেষে শনিবার রাতে পাড়ুই থানার মাধ্যমে তাঁরা খবর পান, কানপুরে রেললাইনে উদ্ধার হয়েছে প্রতীকের দেহ। সোমবার তাঁর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর সামিরুল ইসলাম জানান, ”স্ত্রী জানালেন যে শেষবার যখন কথা হয়েছিল, তখন প্রতীকের গলায় আতঙ্ক ছিল। যেভাবে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে যথেষ্ট রহস্য আছে। রেললাইনে কাটা পড়লে সারা শরীরে ক্ষত থাকত। কিন্তু আঘাত শুধু মাথার পিছনে আছে।”

    সামিরুলের আরও বক্তব্য, ”আপনারা জানেন, উত্তরপ্রদেশ মানে যেখানে ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে আদিবাসী-দলিত-সংখ্যালঘু বিরোধী একটা সরকার চলছে। সেখানে বাঙালি শ্রমিকদের রোজ বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু মোটেই আমরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিচ্ছি না। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করলাম পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের সবরকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)