ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু? জুনপুটে ঝাউবনে তরুণীর দেহ উদ্ধারে গ্রেপ্তার ১
প্রতিদিন | ২৭ অক্টোবর ২০২৫
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু? পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটের গোপালপুর সমুদ্র উপকূলে ঝাউগাছের ভিতর থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে কী কারণে খুন বা কীভাবে খুন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। রবিবার বিকেলের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ঝাউবনের দিকে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে থাকেন। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। গলায় ওড়নার ফাঁস। খবর দেওয়া হয় জুনপুট থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই তরুণীর, তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তদন্ত নেমে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, “অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের কারণ জানতে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই পরিষ্কার হবে কীভাবে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। সে জানায়, ব্যক্তিগত আক্রোশে ওই তরুণীকে খুন করে ঝাউগাছের ভিতর ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জুনপুট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত শুক্রবারও এলাকায় মারধর এবং অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। তার দু’দিন পরই এমন নৃশংস খুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা উপকূল অঞ্চলে। এদিকে, গোপালপুর ও জুনপুটের পর্যটন অঞ্চলে বেড়াতে আসা মানুষদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি তুলেছেন।