'ওঁর বাবা আমায় ধর্ষণ করেছিল', দাবি অভিযুক্তের স্ত্রীর, দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলা কাণ্ডে নাটকীয় মোড়...
আজকাল | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় নাটকীয় মোড়। এবার ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলায় মূল অভিযুক্তের স্ত্রী পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলেন ছাত্রীর বাবার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, দিনের পর দিন ওই ছাত্রীর বাবা তাঁকে ধর্ষণ করে হুমকি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিল্লির অশোক বিহার এলাকায় লক্ষ্মীবাই কলেজের সামনে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারে তিন ব্যক্তি। তিনজনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ছাড়াও ইশান ও আরমান নামের আরও দুই যুবক রয়েছে। ছাত্রীকে ঘিরে ধরে উত্যক্ত করতে শুরু করে তারা। খানিকক্ষণ বচসার পরেই তার ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারে এক যুবক।
অ্যাসিড হামলার সময়েই দ্রুত দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন তরুণী। অ্যাসিডের ছোঁয়া তাঁর দুই হাত পুড়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, ইশান ওই অ্যাসিডের বোতল সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। তরুণীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে আরমান। জানা গেছে, মোটরবাইক করে তরুণীর পিছু নিচ্ছিল ওই তিন যুবক। মূল অভিযুক্ত মুকুন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। সেই এলাকায় তরুণীও থাকেন। মূল অভিযুক্তের সঙ্গে গিয়েছিল ইশান ও আরমান।
পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, অ্যাসিড হামলার পরেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন আক্রান্ত তরুণী। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।
জানা গেছে, মূল অভিযুক্ত গত কয়েকদিন ধরেই তরুণীর পিছু নিচ্ছিল। রাস্তায় তাঁকে উত্যক্ত করত। ঘটনার পর থেকে তিন অভিযুক্তই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই মূল অভিযুক্তের স্ত্রী আক্রান্ত তরুণীর বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মূল অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, আক্রান্ত তরুণীর বাবার সঙ্গে গত কয়েক মাস আগে তিনি কাজ করতেন। সেই সময় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন তাঁকে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একাধিকবার। তাঁর অশ্লীল ভিডিও, ছবি তুলে তার ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিতেন। তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, কাজের সূত্রে তাঁর বাবা বাইরে রয়েছেন। এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। অ্যাসিড হামলার ঘটনার জন্য মিথ্যে অভিযোগ জানাচ্ছেন তিনি বলেই দাবি পরিবারের।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে অ্যাসিড হামলার ঘটনা এবং মূল অভিযুক্তের স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগটি, একযোগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাতীয় মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছে।