SIR প্রক্রিয়ায় কাদের কোনও নথিই দেখাতে হবে না? বিস্তারিত জানাল কমিশন
আজ তক | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্যে আগামিকাল অর্থাত্ ২৮ অক্টোবর থেকে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা SIR শুরু হয়ে যাচ্ছে। SIR প্রক্রিয়ায় অনেকেরই মনে প্রশ্ন, যে ১১টি নথির কথা নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করেছে, সেগুলি সবাইকেই প্রস্তুত রাখতে হবে কিনা। আজ অর্থাত্ সোমবার দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দিলেন, কাদের নথি লাগবে ও কাদের নথি লাগবে না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার বললেন, 'মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।' কমিশন জানিয়েছে, যে সকল রাজ্যে SIR শুরু হচ্ছে, সেই রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবে কমিশন।
SIR প্রক্রিয়ায় কাদের কোনও নথি লাগবে না?
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানালেন, ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের ভোটার লিস্টে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের আর কোনও কাগজ দিতে হবে। কারও নিজের নাম না থাকলেও যদি মা-বাবার নাম থাকে, তা হলেও কোনও নথি দিতে হবে না। কমিশনের সাইটে গিয়ে এই ‘ম্যাচিং’ ভোটাররা নিজেরাই করতে পারবেন। একইসঙ্গে আজ রাত ১২টায় ওই ভোটার লিস্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। ওই ভোটার লিস্টে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদেরকেই এনুমেরেশন ফর্ম পাঠানো হবে।
কাদের নথি লাগবে?
যাঁদের ২০০২ থেকে ২০০৪ ভোটার লিস্টে নাম নেই, এমনকী সংশ্লিষ্ট ভোটারের পূর্বপুরুষ বা মা-বাবারও নাম নেই, তখন তাঁকে জিগ্গেস করা হবে, সেই সময় তাঁরা কোথায় ছিলেন। সে ক্ষেত্রে ১১টি নথির মধ্যে যেকোনও একটি লাগবে ফর্ম ফিল-আপের জন্য। যদি সেই নথি সংশ্লিষ্ট ভোটাররা না দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে প্রথমে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে। তারপর তাঁদের আপিল শুনবেন জেলাশাসক। তারপর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
কী কী নথি লাগবে?
১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল। এই নথিগুলির মধ্যে যেকোনও একটি নথি দিতে হবে।