কারখানায় কাজের সময় লোহার করাতে গলা কেটে মৃত্যু শিশুশ্রমিকের, গ্রেফতার ২
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
লোহার কারখানায় কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু এক শিশু শ্রমিকের। হাওড়ার সাঁকরাইলের বাণীপুর এলাকায় একটি লোহার ছাঁট কারখানায় মেশিনের করাতে গলা কেটে মৃত্যু হয় ওই নাবালকের। বছর চোদ্দর ওই কিশোর কাজ করত হাওড়ার একটি ছাঁট লোহার কারখানায়। নাবালকের নাম কিশোরগোপাল দাস। কর্মরত অবস্থায় কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। কারখানার মালিক এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ও উঠছে।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের মা বাবা কেউ নেই। তার বেড়ে ওঠা দাদু-দিদার কাছেই। নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠায় পেটের দায়ে লোহার কারখানায় কাজ নিয়েছিল কিশোরগোপাল। তার কাজ ছিল বড় বড় পুরনো লোহার যন্ত্রাংশ কেটে ছোট ছোট টুকরো করা। পরে সেই লোহার টুকরো ঢালাই করে বিক্রি করা হয় অন্যত্র। প্রত্যেকদিনের মতো রবিবার কিশোরগোপাল আর সব শ্রমিকের সঙ্গেই কাজ করছিল। কিন্তু হঠাৎ-ই লোহা কাটার করাতে তার গলা কেটে যায়, এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নিমেষে সে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তড়িঘড়ি নাবালককে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
হাওয়াপোতায় হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে প্রথমে হাসপাতালে এবং পরে কারখানায় যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন শিশুর কীভাবে গলা কেটে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিশুশ্রম কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে মালিক লক্ষ্মণ বর্মা এবং তাঁর পুত্র বিশ্বাস বর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাঁদের তোলা হবে আদালতে। নাবালকের অকাল মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।